মৃত মানুষের মাংস খাওয়া তার নেশা

সেই নরখাদক আবার গ্রেপ্তার

কবর থেকে লাশ চুরি করে তা খেয়ে ফেলার দায়ে ২০১১ সালে পাকিস্তানে মোহাম্মাদ আরিফ (৩৫) ও তাঁর ছোট ভাই মোহাম্মাদ ফরমানের (৩০) দুই বছরের জেল হয়েছিল। জেল খেটে বের হওয়ার পর আবার পুরোনো অভ্যাসে ফিরে গেছেন তাঁরা।

একই অভিযোগে আজ সোমবার আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ফরমান পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সটকে পড়েছেন। তাঁদের ঘর থেকে একটি শিশুর ছিন্নভিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পাকিস্তানের দৈনিক ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, আরিফ ও ফরমানের বাড়ি পাঞ্জাব প্রদেশের বাক্কার জেলার দারিয়া খান শহরে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশের হাতে প্রথম গ্রেপ্তার হন এ দুই ভাই। নতুন কবর দেওয়া এক শিশুর দেহ তাঁদের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শরীরের কয়েকটি অংশ রান্না করা অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় তাঁরা অন্তত পাঁচটি লাশ খেয়ে ফেলার কথা স্বীকার করেছিলেন। এই অপরাধে তাঁদের প্রত্যেককে দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। গত বছর সাজা খেটে মুক্তি পান তাঁরা।

পুলিশ জানায়, দুই ভাই মিলে এ পর্যন্ত ১০০টির বেশি কবর খুঁড়ে মরদেহ খেয়েছেন।

খবরে বলা হয়, আরিফ ও ফরমানের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আজ পুলিশকে জানান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের ঘর থেকে এক শিশুর মাথা উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মরদেহ খাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আরিফ।
বাক্কার জেলার পুলিশের প্রধান আমির আবদুল্লাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আজ সকালে আমরা বাড়িটিতে অভিযান চালাই। বাড়ি থেকে এক শিশুর মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। নরখাদক দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আরেকজনকে ধরার জন্য অভিযান চলছে। দুই ভাই আরও কোনো কবর খুঁড়ে মরদেহ বের করেছেন কি না, এ ব্যাপারে খোঁজ করছি আমরা।’



মন্তব্য চালু নেই