সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষকরাই বোঝেন না

আমাদের শিক্ষকরাই সৃজনশীল পদ্ধতি বোঝেন না। তারা জানেন না কীভাবে পড়াতে হয়, প্রশ্ন করতে হয়। এ কারণে তারাই গাইড বইয়ের প্রতি ঝুঁকছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ।

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকিত মানুষ চাই এর এই উদ্যোক্তা বলেন, শিক্ষকরা সৃজনশীল বোঝেন না। তারা জানেন না কীভাবে পড়াতে হবে। কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে। সৃজনশীল না বুঝার কারণে শিক্ষকরা ঝুঁকছেন গাইড বইয়ের দিকে। শিক্ষার্থীদেরকেও তারা বুঝাতে পারেন না। অভিভাবক ছুটছেন কোচিং সেন্টারের দিকে। প্রাইভেট টিউটরের দিকে।

সব শিক্ষক ভালো বুঝবেন, পড়াবেন, প্রশ্ন করতে পারবেন এটা সম্ভব না উল্লেখ করে আবু সাঈদ বলেন, এ সমস্যা সমাধানে সেন্ট্রাল কোয়েশ্চেন ব্যাংক তৈরি করা যেতে পারে। যেখানে অসংখ্য প্রশ্ন থাকবে। সেটা দেখে শিক্ষকরা সৃজনশীলতাকে বুঝতে পারবেন, পড়াতে পারবেন, প্রশ্নও করতে পারবেন। এবং এ প্রশ্ন ব্যাংক থেকেই পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে। শিক্ষর্থীরা দিকনির্দেশনা পাবে। অভিভাবকের ছুটাছোটি বন্ধ হবে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা স্কুলগুলোর পড়াশোনা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এর মূল কারণ রাজৈনিতক হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে সরকারি অর্থয়ানে পরিচালিত ক্যাডেট স্কুলগুলো বাহিরের প্রভাবমুক্ত থাকায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি স্কুলগুলোকে পুরোপুরি ক্যাডেটের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারলে শিক্ষার গুণগতমানের পরিবর্তন হবে। এবং প্রকৃত শিক্ষার সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শিক্ষার সোনার খাঁচা তৈরি হচ্ছে, গানের পাখিটা আসছে না। এমসিকিউ প্রশ্নের ফলে নকল হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমসিকিউ ১৫ তে নামিয়ে আনতে হবে। এক বাক্যে প্রশ্ন করার ফলে নকলেরর প্রবণতা বেশি বাড়ছে। এ নকল ঠেকাতে দুই বা তিন বাক্যে প্রশ্ন করতে হবে। এমসিকিউ বাদ দেয়া গেলে আরো ভালো হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ড. ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই