সুস্বাস্থ্যের জোগান দেয় কালো শিম বীচি

কালো শিম বীচি খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। বিশেষ করে কিউবার ডিশগুলোতে ভাতের সাথে শিম বীচির অনন্য স্বাদের কথা তো না বললেই নয়। তবে বাঙালী রান্নায় এই কালো শিম বীচির বেশ ঘরোয়া ঘরোয়া স্বাদটুকুও কিন্তু ভোলার নয় মোটেই। আর আপনি যদি হন এই রেসিপিগুলোর ভক্ত আর খেতে ভালোবাসের কালো শিম বীচি তাহলে আপনাকেই বলছি, কেবল পেটেরই নয়, শরীরের সুস্বাস্থ্যের জোগানকেও নিশ্চিত করছেন আপনি কেবল এই একটি খাবারের মাধ্যমে। জানতে চান কীভাবে? চলুন জেনে আসি।

১. ভেজিটেবল প্রোটিনের উৎসঃ

অনেকে শারীরিক সুস্থতা বা অন্যান্য কারণে ভেজিটেবল ডায়েট মেনে চলেন। এক্ষেত্রে আপনার শরীর হয়ে পড়তে পারে প্রোটিনের অভাবে বেশ দূর্বল। তবে আপনার এই দুর্বলতাই পুরোপুরি কাটিয়ে দিতে পারে একটিমাত্র খাবার। আর সেটি হচ্ছে কালো শিম বীচি। কারণ, কালো শিম বীচি হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। ভেজিটেবল প্রোটিনে ভরা এই খাবারটি শরীরে প্রোটিনের দরকার এমন সব মাংসপেশিকে যথাযথ প্রোটিনের যোগান দেয়।

২. মাংসপেশি, হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলের সহায়কঃ

আগেই বলেছি যে কালো শিম বীচিতে থাকা প্রোটিন শরীরের মাংসপেশির সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কাজে আসে। তবে এটি ছাড়াও এই শিম বীচিতে আপনি পাবেন হাড়কে শক্ত করা ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার। বয়স বাড়লে অস্টিওপোরোসিসের মতন রোগে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। সেক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজে দেয় এই শিম বীচি। সেইসাথে এতে আছে শারীরিক নানা প্রদাহ দূর করতে সাহায্যকারী ওমেগা-৩ এসিডও।

৩. হজমে সাহায্য করেঃ

কালে শিম বীচিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। আর এই আঁশ আপনাকে সাহায্য করবে খাবার হজমের ক্ষেত্রে। এছাড়াও আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে সেটাও কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে এটি। শুধু তাই নয়, কালো শিম বীচি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের নানারকম জটিল সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দেয় সহজেই।

৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

বর্তমানে ক্যান্সার পৃথিবীতে একটি ভয়াবহ মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আর কালো শিম বীচি আপনার শরীরে ৮ ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েডের যোগান দিয়ে খুব সহজেই প্রতিকার না করতে পারলেও প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে ক্যান্সার সেলের। এ তালিকায় আরো অনেক খাবারের নামই আছে। তবে শিম বীচিকে এদিক দিয়ে এগিয়ে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। হৃদপিন্ডের সুরক্ষায়ও বেশ সাহায্যকারী এই শিম বীচি।



মন্তব্য চালু নেই