সুস্থ থাকুন দুধের আদর্শ গুণে

আমাদের দেহকে সুস্থ সবল রাখতে আদর্শ খাদ্য দুধের তুলনা হয় না। মজাদার যেকোনো খাবার বানাতে প্রয়োজন পড়ে দুধের। তাই গৃহপালিত বা খামারে পালিত গরু, ছাগল, মহিষ থেকে সরাসরি তরল দুধ, কিংবা বিশেষ উপায়ে সংরক্ষিত তরল দুধ ও গুঁড়ো দুধ খাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। দুধে থাকা বিশেষ গুণের কারণে এর কদর সবার কাছে। বর্তমানে বাংলাদেশে দুধের চাহিদার অনেকাংশেই পূরণ করে চলেছে পাস্তুরিত তরল দুধ। এক বছরে বাংলাদেশে তরল দুধের চাহিদা ৭ মিলিয়ন মেট্রিকটন। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের হিসেবমতে বাংলাদেশে সব ধরনের দুধের চাহিদা রয়েছে ১৩.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। আজ আমরা দুধের গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব।

* দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের গঠন ও বিকাশে উপকারী। এটি হাড়ের গঠন ও বিকাশেও খুবই উপকারী।

* সারাদিনের ব্যস্ততার পর ক্লান্তি দূর করতে দারুণ উপকারী এক গ্লাস গরম দুধ। কারণ গরম দুধ ক্লান্ত পেশী সতেজ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া দুধ খাওয়ার ফলে শরীরে মেলটনিন ও ট্রাইপটোফ্যান হরমোন নিঃসৃত হয়, আর এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।

* নিয়মিত পাতলা বা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

* শরীরে জলশূন্যতা হলে দুর্বল মনোযোগ, স্মরণশক্তির এলোমেলো ভাব, অনুভূতির অবসাদগ্রস্ততা, ভালো না লাগা রোধ করতে নিয়মিত দুধ পান করা জরুরি।

* ফল, সবজি আর স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অধিক কার্যকরী।

* দুগ্ধজাত আমিষ শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিড সরবরাহের মাধ্যমে অ্যামাইনো অ্যাসিডের কমতি থাকা ‘সেরিল’ ও সবজিজাত সাধারণ মানের আমিষের পুষ্টিমান বাড়িয়ে তোলে।

* প্রচলিত ধারণার বিপরীতে জানা গেছে যারা নিয়মিত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেন তারা তুলনামূলক ঝরঝরে শরীরের অধিকারী হয়ে থাকেন। পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে ক্যালরি নিয়ন্ত্রিত সুষম খাবারের অংশ হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলে ওজন হ্রাস ত্বরান্বিত হয়ে থাকে।

* দুধে প্রচুর পরিমাণে থাকা আমিষ ‘ক্যাসিন’ দাঁতের এনামেলের উপর প্রতিরোধী পাতলা স্তর গড়ে তোলে।

* দুধে থাকা নানা পুষ্টিগুণ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।



মন্তব্য চালু নেই