সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গোপালগঞ্জেও তারেকের কাছে জামানত হারাবেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমানের কাছে গোপালগঞ্জেও জামানত হারাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত তারেক রহমানের অষ্টম কারামুক্তি দিবস ও তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মার্কিন গবেষণায় শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নাকি বেড়েছে এমন কথা শুনতে পাচ্ছি। সত্যিই যদি হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েই থাকে তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি- দেশের যে কোনো প্রান্তে এমনকি গোপালগঞ্জেও যদি নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হয় তাহলে বর্তমান এ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী তার জামানত হারাবেন।’

‘দেশের ইজ্জত নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সোনার ছেলেরা ছিনিমিনি খেলছে’ উল্লেখ করে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই সোনার ছেলেরা হত্যা, গুম, নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ এমন কোনো জঘন্য কাজ নেই যেখানে তারা লিপ্ত নয়।’

তারেক জিয়াকে বাংলাদেশের আরেক জিয়া উল্লেখ করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‘তারেক জিয়া দেশে ফিরবেন কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারণ সারাদেশের মানুষ তার জন্য অপেক্ষা করছে।’

‘স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করা যাবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের অবদান আছে এটা সত্য কিন্তু তাদেরও বিশেষ একটি উদ্দেশ্য ছিল। তাদের উদ্দেশ্য এ দেশ দখল করা নয় কিন্তু বাংলাদেশে এমন একটি সরকার থাকবে যে সরকার তাদের কথায় উঠবে এবং বসবে।’

জীবনের শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনো মাথা নত করেন না। এমনকি ভারতের কাছে বিক্রি হওয়ার মতো নেত্রীও তিনি নন। তাই আল্লাহ যেন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার পাশে থাকার তওফিক দান করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিজের গদিকে টিকিয়ে রাখার জন্যই বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ১৬ কোটি নির্যাতিত মানুষ জিম্মি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেতন বৃদ্ধি করেছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মাদ লিটনের সভাপতিত্বে কর্মজীবী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দীন আহমদ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খাঁন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই