‘সুরঞ্জিত ছিলেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান’

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন সুরঞ্জিত। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এতো দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান আমার জীবনে আর দেখবো না। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মরণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নাসিম এ সময় জামায়াত আর বিএনপির চরিত্রে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকুক আর না থাকুক বিএনপির চরিত্র একই থাকবে। জামায়াত আর বিএনপির চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ পাকিস্তানের ধারায় চলে যাবে। তাদের এই চরিত্র দেশের মানুষ বোঝে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বিরোধিতা করা, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করা এটা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। অতীতে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু সাঈদের বিরোধিতা করেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমানকেও বিরোধিতা করেছিল আওয়ামী লীগের লোক বলে। বিএনপি নির্বাচনে জিতে যাওয়ার মুহুর্তেও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’

বিএনপির সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘বিএনপির সমস্যা হচ্ছে কোনো কিছু শুরু হলেই- তারা নেতিবাচক রিঅ্যাকশন দেয়। তারা এটা করে চাপ সৃষ্টির জন্য। বিতর্ক সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির পক্ষেই জনগণ রায় দেবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে আমরা জিততে চাই। সে লক্ষ্যেই সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিকে বলবো আগামী নির্বাচনে আসুন। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না; ফাঁকা মাঠে গোল দিতে ভালো লাগে না।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের এক ইতিহাস সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে যারা গণহত্যার বিপ্লব করতে চেযেছিল, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ একটি মতবাদ। এই মতবাদকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।’

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন – খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মহিবুর রহমান মানিক এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, নাট্যকার ড. ইনামুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই