সুযোগ পেলে কারাবন্দিরাও হতে পারেন শৈল্পিক কারিগর

কারাগারে বন্দি হাজতি ও কয়েদিদের নাম শুনলেই সাধারণত মানুষের চোখের সামনে খুনী, চোর, ডাকাত, ধর্ষক, নারী ও মুদ্রা পাচারকারিসহ অপরাধীদের চেহারা ভেসে উঠে। সমাজের সকল শ্রেনি ও পেশার মানুষ তাদের ঘৃণা ও বাঁকা চোখে দেখে।

অপরাধীরা কখনও ভাল হয় না, সমাজে এমন বদ্ধমূল ধারণা এখনও রয়ে গেছে। কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে দাগি অপরাধীদের একেকজন শৈল্পিক কারিগর হয়ে উঠতে পারেন। এর বাস্তব উদাহারণ তৈরি করেছেন দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বহু বন্দি।

একাধিক দায়িত্বশীল কারা কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি হাজতি ও কয়েদিরা কারা অভ্যন্তরে দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, নকশিকাঁথা, আসবাবপত্র, পুঁথির তৈরী পণ্যদ্রব্য ও খাবার তৈরি করছেন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। কারাবন্দিদের হাতে তৈরী পণ্য বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।

কারা অধিদফতরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ প্রিজন’ নামক পেইজে কারাবন্দিদের তৈরি পণ্যসামগ্রীর প্রশংসা করে ষ্ট্যাটাস দিয়েছেন।

খোঁজনিয়ে জানা গেছে দেশের বিভিন্ন কারাগারের মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, নারায়ণগঞ্জ, যশোর এবং কিশোরগঞ্জের বন্দিরা খাট, আলমারি ও পার্টিকেল বোর্ড, চাবির, ব্লকের শাড়িসহ উন্নতমানের আসবাবপত্র তৈরি করছেন। তবে বিভিন্ন কারাগারের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরী ও বিক্রির পরিমান বেশি।

কারা অধিদফতরের সহকারি মহা-কারা পরির্দশক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সম্প্রতি বলেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি হাজতি ও কয়েদিরা একেকজন শৈল্পিক কারিগর হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করছেন। কারা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নেয়া এবং দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন কারাগারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বন্দিদের বিভিন্ন শৈল্পিক কাজের দক্ষ কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই