সুন্দরী বলায় রেগে আগুন নারী পুলিশ

কেরলের সেই আইপিএস ট্রেনিকে মনে আছে? সুন্দরী হওয়ার কারণে যার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও একবার খবরের শিরোনাম হলেন তিনি। এবারও কারণ তার সৌন্দর্য। তবে এবার নিজের সুন্দরী তকমাতে ক্ষুব্ধ তিনি। তীব্র সমালোচনায় সে তকমাকে নস্যাৎ করেছেন তিনি।

কে তিনি? তিনি মেরিন যোসেফ। বহাল কোচির এসিপি পদে৷ তাঁকে নিয়ে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। ‘ব্রেন উইথ বিউটি’ হিসেবেই তাকে তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যম৷ সম্প্রতি সেরকমই একটি খবর আবার দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। জানিয়েছেন, সুন্দরী তকমা সেঁটে তাদের দেখতে বলার অর্থ তাদের সাফল্যকে খাটো করা৷ বুদ্ধিমত্তা, পরিশ্রম দিয়ে তারা যে স্বনির্ভরতার জায়গায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেন, তা যখন স্রেফ সৌন্দর্যের চৌকাঠে গিয়ে আটকে যায়, তখন লড়াইয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় বলে মত তার।

পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মহিলাদের বস্তু হিসেবে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তিনি। বরং জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও এই গণতান্ত্রিক কাঠামোয় যে সমস্ত মহিলা অফিসাররা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করে চলেছেন, তাদের কাজটুকু অ্যাপ্রিসিয়েট করলেই তাদের যথোচিত সম্মান দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি। কেন সুপুরুষ আইপিএসদের নিয়ে খবর হয় না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

সম্প্রতি অসমের বিজেপি বিধায়ক আঙুরলতা ডেকাও তার সৌন্দর্যের কারণে সারা দেশের কাছে সেনসেশন হয়ে উঠেছেন৷ অনেকেই বলছেন, এই আলোচনার কারণ পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার এক পুরনো রোগ। সুন্দরী মহিলা মাত্রই তিনি বুদ্ধিমান হবেন এমনটা ভাবা এ কাঠামোর অভ্যাসে নেই৷ তাই রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতীদের সবসসময় আলাদা আসনে বসানো হয়৷ ‘উইমেন অবজিক্টেফিকেশন’-এর এও এক ছবি। আঙুরলতা বা মেরিন যোসেফের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। মেরিনের এ সমালোচনা সেই প্রাচীন সেই দৃষ্টিভঙ্গির মুখের উপর সপাট জবাব হয়ে থাকল। সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই