পাইলিংয়ের গর্তে সড়ক ধস

সুন্দরবন হোটেল রক্ষায় কাজ শুরু

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের গর্তে সড়ক ধসের পর পাশের সুন্দরবন হোটেলকে রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সড়কে যাতে আর ধস না নামে সেজন্যও নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা।

এছাড়া ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দেয়া হয়।

বীরউত্তম সিআর দত্ত সড়কে অবস্থিত হোটেলটি ঝুঁকিতে পড়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বালি ফেলে ও ভারি যন্ত্রাংশ সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

সুন্দরবন হোটেলের পাশে আব্দুল মোমেন টাওয়ারে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্পন বিশেষজ্ঞ মেহেদি আহমদ আনসারি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ, রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিন এ খান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নূরুল আমিন ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী ফেরোজুর রহমান। এছাড়া পুলিশ, র‍্যাব, বিদ্যুৎ ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে যোগ দেন।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্পন বিশেষজ্ঞ মেহেদি আহমদ আনসারি জানান, ধসের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে সিআর দত্ত সড়ক ও সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এখন এ দুটিকে ঝুঁকিমুক্ত রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের গর্তের পাশে রাখা ভারি যন্ত্রাংশ সরিয়ে সেখানে বালি ফেলতে হবে। দ্রুত এ কাজ করা হলে আশা করি ভবনটির কোনো ক্ষতি হবে না।

এদিকে বৈঠকে ন্যাশনাল ব্যাংকের বহুতল ভবনের নির্মাণের দায়িত্বে থাকা এমএএম কনস্ট্রাকশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, নিরাপত্তার মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। সাম্প্রতিক সময় একাধিক ভূমিকম্পন ও বৃষ্টির পানি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের গর্তের মাটি নরম করে ফেলেছে। ফলে পাইলিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। তবে আমরা এ ঘটনা থেকে উত্তরণের সর্বাত্ম চেষ্টা করছি। ধসের আশপাশের স্থানে বালি ফেলা হবে এবং ভারি যন্ত্রাংশ অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের গর্তে পাশের সড়কের একটি অংশ ধসে গেছে। বুধবার সকালে দু’দফা এ ঘটনার পর সুন্দরবন হোটেলের পাশের ওই রাস্তাটি ছাড়াও কয়েকটি অস্থায়ী দোকানও পড়ে যায় গর্তটিতে।



মন্তব্য চালু নেই