সুন্দরবনে অস্তিত্ব হারাচ্ছে বাঘ

বনাঞ্চলের কাছে জনবসতি স্থাপন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে সুন্দরবনে বাঘের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে শিকারির উৎপাত। তাছাড়া বনদস্যু ও জলদস্যুরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে সুন্দরবন।

চামড়াসহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মূল্যবান হওয়ায় বাঘ হত্যা করে তারা। সক্রিয় রয়েছে এসব পাচারকারী চক্র। বিভিন্ন সময় র্যাবের অভিযানে বাঘের চামড়াসহ অনেক শিকারি আটকও হয়েছে।

কয়েক বছর আগে সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী সুন্দরবনাঞ্চলে লোকালয়ে বাঘের আনাগোণা দেখা গেলেও এখন আর দেখা যায় না। দুই বছর আগেও সুন্দরবনে প্রবেশকারী বনজীবীদের উপর প্রায়ই বাঘের আক্রমণের খবর পাওয়া যেত। কিন্তু এখনও আর সে খবরও পাওয়া যায় না।

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় বাঘ নিহত বা ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে কিনা এমন কোনো হিসেব সরকারের কাছে নেই। তবে শেষ গণনা অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি।

সুন্দরবনে মধু আহরণকারীরা জানায়, বনের গভীরে গাছ কেটে একাধিক আস্তানা গেড়েছে বনদস্যুরা। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অর্থের যোগান দিতে তারা বাঘ হত্যা করে।

স্থানীয় বন গবেষক ডা. বিধান বলেন, দস্যুদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও লোকবলের কাছে বাঘের জীবন নিরাপদ নয়। তাছাড়া জেলে সেজে অনেক শিকারি বনে প্রবেশ করে। খাদ্যে বিষ মিশিয়ে ফাঁদ পেতে তারা বাঘ হত্যা করে চলেছে। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাও তুলনামূলক হারে কমে গেছে। এখনই বাঘ সংরক্ষণে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তবে সুন্দরবনের বাঘ অস্তিত্ব হারাবে।



মন্তব্য চালু নেই