সীমান্ত বিরোধ: হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রামগতি

সীমান্ত বিরোধের জের ধরে রাস্তা ও গাছ কেটে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সঙ্গে নোয়াখালীর হাতিয়ার উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সড়কের পাশে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে ফেলে তারা।

সোমবার গভীর রাতে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড তেগাছিয়া বাজার এলাকার ছয়টি সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে তারা।

এলাকাবাসী জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় হাতিয়া সীমানায় অবস্থিত তেগাছিয়া বাজার ও পাশের এলাকার চেয়ারম্যানঘাট-টাংকী বেড়ি সড়কের ৩০ ফুট, দিদার বাজার-টাংকী বাজার সড়কের ১৫ ফুট, মাইন উদ্দিন বাজার-টাংকী বাজার পাকা সড়কের ১০ ফুট, মাইনউদ্দিন বাজার-ফরেস্ট সেন্টার বাজার সড়কের ১০ ফুট, টিনের মসজিদ-সোলাইমান বাজার সড়কের ১০ ফুট, সোলাইমান বাজার-ইসলামপুর পাকা সড়কের ১০ ফুট রাস্তা কেটে দিয়ে হাতিয়ার সঙ্গে রামগতির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সড়কগুলোর পাশে থাকা সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে ফেলে তারা।

বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের নজরে আসলে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম সুমন ও ফরিদ ডাকাতের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে চরগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম সুমনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পঙ্কজ বড়ূয়া জানান, কেটে ফেলা গাছের সংখ্যা নিরুপন করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্থানীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকের হোসেন জানান, ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হরণী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর বাজারে অবস্থিত ফরেস্ট সেন্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারীদের ওপর হামলা চালায় পার্শ্ববর্তী রামগতি উপজেলার উত্তেজিত জনতা। একইভাবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় নির্বাচন অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী ও পুলিশের ওপর হামলা চালার ঘটনা ঘটে।



মন্তব্য চালু নেই