সিরিয়া যুদ্ধে অবরুদ্ধ ১০ লাখ মানুষ

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় অবরুদ্ধদের সংখ্যা নিয়ে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে প্রকৃত সংখ্যা ফুটে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছে নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা প্যাক্স এবং ওয়াশিংটন-ভিত্তিক একটি সিরীয় প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, এতে সিরিয়ার অবরুদ্ধ মানুষের যে সংখ্যা দেখানো হয়েছে তা মূলত মোট সংখ্যার অর্ধেক।

মঙ্গলবার সংস্থা দুটি জানিয়েছে, সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ অবস্থায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে অনাহারে মানুষ মারা যাওয়ার খবর এখন একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সাধারণ মানুষ অবরুদ্ধ শহরগুলোতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার প্রতিশ্রুত খাবার পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছেন।

সংস্থাগুলোর ভাষ্যমতে, মানুষজন অনাহারে থাকার খবর প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাদায়াকে জাতিসংঘ সংকটপূর্ণ শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। গত মাসে গণমাধ্যমগুলোতে অনাহার ক্লিষ্ট একটি শিশুর ছবি প্রকাশিত হলে শহরটিতে প্রবেশ করে সংস্থা দুটির প্রতিনিধিরা। সেখানে অসংখ্য না খেয়ে থাকা মানুষের সাথে কথা বলে তারা। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায়, অভুক্ত সন্তানদের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের পিতামাতারা।

তারা বলেন, মাদায়া শহরে প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার মানুষের বাস। একানে বাস করা ৪৬টি সম্প্রদায়ের মধ্যে মাত্র ১৮টি সম্প্রদায় জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত।

এই এলাকাগুলোতে সাধারণত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বলতে গেলে বন্ধ, সেখানে খাদ্য ও জ্বালানির প্রবেশ সীমিত। চিকিৎসা সেবা থেকে ও তারা বঞ্চিত। অপুষ্টিজনিত রোগ, হাইপোথারমিয়া এবং খাদ্যে বিষক্রিয়ায় সেখানে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় প্রায় এক লক্ষ সিরীয় অবরুদ্ধ এবং প্রায় ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭ শত মানুষ অবরুদ্ধ হওয়ার পথে।



মন্তব্য চালু নেই