সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা আগেই জানতো রাশিয়া!

সিরিয়ার হোমস প্রদেশের আল-শায়রাত বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই তা রাশিয়াকে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের বিবৃতির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। হামলায় ঘাঁটিতে রাখা যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার আগে এ সম্পর্কে সামরিক পর্যায়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ রাশিয়াকে জানিয়েছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন দাবি করেন, হামলার আগে বা পরে রাশিয়ার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এ সম্পর্কে রুশ কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল ইদলিবে বিমান থেকে চালানো রাসায়নিক গ্যাস হামলার জবাবেই মার্কিন বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ার চালানো রাসায়নিক হামলার জবাবে আমি সামরিক স্থাপনায় ওই হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। এই মারাত্মক রাসায়নিক অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’

উল্লেখ্য, ইদলিবে ওই রাসায়নিক গ্যাস হামলায় ৮৬ জন নিহত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলার অভিযোগ ওঠার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারী বাহিনী ও রাশিয়াকে দুষলেও এই দাবি অস্বীকার করেছে সিরীয় সেনাসূত্র ও রুশ কর্তৃপক্ষ। হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে তোপের মুখে পড়ে রাশিয়া। ওই হামলায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দায়ী করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, বিদ্রোহীরা ওই রাসায়নিক গ্যাস মজুত করে রেখেছিল। সিরীয় বিমান হামলায় সেই গুদাম আক্রান্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে রাশিয়ার এমন দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্য দেশগুলো। তারা আসাদকে থামাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায়।



মন্তব্য চালু নেই