সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১০০০ ইরানি সেনা নিহত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে ইরানের এক হাজারেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাও রয়েছে।

মঙ্গলবার ইরানের একজন কর্মকর্তা তাসনিম বার্তা সংস্থাকে এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

চার মাস আগে ইরান জানিয়েছিল, সিরিয়ার রণক্ষেত্রে দেশটির চারশ’সেনা নিহত হয়েছে। নতুন এ সংখ্যায় নিহতের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে।

প্রায় পাঁচ বছর চলতে থাকা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদ বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু থেকেই যোদ্ধা পাঠাতে থাকে মিত্র ইরান। সেনাদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিয়ে শিয়া যোদ্ধাদেরও সেখানে পাঠানো হয়।

শিয়া যোদ্ধাদের মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শিয়া সদস্যরাও রয়েছে। আগস্টে নিহত যোদ্ধাদের অর্ধেকেরও বেশি ছিল আফগান শিয়া যোদ্ধা।

ইরানের শহীদ ফাউন্ডেশনের প্রধান মোহাম্মাদ আলি শাহিদি মাহাল্লাতি বলেন, ‘মাজার রক্ষায় নিয়োজিত ইরানি শহীদদের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।’

সিরিয়ায় পাঠানো যোদ্ধাদেরকে মাজার (দামেস্কের সৈয়দা জয়নব মসজিদ) রক্ষাকারী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে ইরান। মুহাম্মদ (সা.) এর নাতনি জয়নবকে এখানে দাফন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। এছাড়া শিয়ারা সম্মানিত মনে করে এমন আরও মাজার রয়েছে।

শুরুর দিকে সেনা পাঠানোর ঘটনার বিরোধিতা করেছিল অনেক ইরানি। পরে আইএস জঙ্গিদেরকে দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে তারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়।

গত ২০১১ সালের মার্চে আসাদবিরোধী নিরস্ত্র বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত পূর্ণমাত্রায় গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এতে এখন পর্যন্ত চার লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটিরও বেশি।



মন্তব্য চালু নেই