সিম নিবন্ধন : আঙুলের ছাপ যাদের মিলছে না তাদের জন্যে ইসির বিশেষ সুযোগ

৩০ এপ্রিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। জাতীয় পরিচয় পত্র নেই, আবার থাকলেও অনেকের আবার মিলছে না আঙুলের ছাপ।

এসব সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাদের আঙুলের ছাপে সমস্যা আছে, তাদের জন্য ঢাকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ছাড়াও উপজেলা ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হালনাগাদের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে এ সংক্রান্ত সেবা দ্রুত প্রদানে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শনিবার সিম পুনর্নিবন্ধনের শেষ সময়। কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, মাঠপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ততা থাকলেও আদালতের নির্দেশের বাধ্যবাধকতার কারণে আঙুলের ছাপ হালনাগাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হালনাগাদ করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। যাদের আঙুলের ছাপে সমস্যা রয়েছে তারা সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে হালনাগাদ করে সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা, উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়েও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সিম নিবন্ধনের কাজ চলবে।

গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৬ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি গ্রাহক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেছে। ৬২ লাখেরও বেশি গ্রাহকের আঙুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলেনি। যাদের আঙুলের ছাপ মিলেনি তাদের নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

গত আড়াই বছরে যারা ভোটার হয়েছেন, তাঁদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পৌঁছাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ফলে সিম নিবন্ধনে তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন।

জানা যায়, এনআইডি ছাড়া অন্য কোনো কাগজে সিম নিবন্ধন হচ্ছে না, এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর দেওয়া বায়োমেট্রিক মেশিনে এনআইডির তথ্য নেওয়া ছাড়া কোনো অপশন রাখাও হয়নি।’

এ ব্যাপারে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ মুহাম্মদ মুসা বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষের আঙুলের ছাপের সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাদের আঙুলের ছাপ হালনাগাদের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বায়োমেট্রিক সিম পুনর্নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই আঙুলের ছাপ হালনাগাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয়ে আঙুলের ছাপ দিয়ে আসতে পারবে, তা বাস্তবায়নের নির্দেশনাও রয়েছে।’

গত ১০ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, গত বছর ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনর্নিবন্ধিত হয়েছে। যা মোট সিমের ৪২ শতাংশের মতো। অবশ্য মোট সিমের মধ্যে আট কোটি বর্তমানে সক্রিয় বলে অপারেটরদের ধারণা।



মন্তব্য চালু নেই