সিন্ডিকেটের কারনে ঝাউডাঙ্গার মাছ চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না

সাতক্ষীরা জেলার ঝাউডাঙ্গা মৎস আড়ৎদার,ও পাইকারী ক্রেতাগণ অবৈধ সিন্ডিকেট করে মাছের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এর কারনে এলাকার হাজারো ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত মাছ নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন।

গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এলাকার ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের ঘের থেকে মাছ তুলতে শুরু করেন। প্রথম দিকে মাছের দাম বেশী ছিল। কিন্তুু মাসের শেষের দিকে এসে হঠাৎ করে ঝাউডাঙ্গা বাজারে পাইকারী মাছের দাম কমে যায়। ঐ সময় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্র/পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি হয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বাজারের প্রায় ১০/১৫জন পাইকারী ব্যবসায়ী মাছের দাম বাড়িয়ে দেন। এলাকার মাছ চাষীরা জানান, মাছের কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ বৃর্দ্ধি পায়। এ অবস্থা সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই আবারো ক্রেতারা মাছের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।

গত মাসে বাজারে ছোট ছোট ইলিশ মাছ ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হত। এ কারনে তখন বাজারে দেশী সাদা মছের চাহিদা কম ছিল। আর এই অজু হাতে তখন পাইকারী ক্রেতারা মাছের দাম কমিয়ে দিয়েছিল। এখন বাজারে মাছের দাম এত কম কেন এ প্রশ্নের উত্তরে ঝাউডাঙ্গা বাজারের মাছের কমিশন এজেন্ট আব্দুল আহাদ জানান, এ সময় বাজারে মাছের ব্যাপক আমদানী। সারাদেশ থেকে ঢাকায় মাছের আমদানী ও অনেক বেশী। বাজারে মাছের চাহিদার পরিমানে আমদানী বেশী হওয়ার কারনেই মাছের দাম কম।

মাছ চাষীরা বলছেন খুচরা বাজারে মাছের দাম ঠিকই বেশী। সহজ কথা হলো মাছ চাষীদের ঠকানোর জন্যই সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা মাছের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
সামনে মাছের খাদ্যের দোকানে হালখাতা, ইতিমধ্যে মাছ অনেক বড় হয়ে গেছে, এখনই মাছ বিক্রি না করলে মাছের খাদ্যের পরিমান বাড়াতে হবে। এসব কারনে চাষীরা মাছ তুলে বাজারে নিয়ে আসছেন বিক্রি করতে। কিন্তু মাছের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

গত বারের লোকসান পুষিয়ে এবারের মৌসূমে মাছের দাম যাতে বেশী পায় সে জন্য এলাকার হাজারো মাছ চাষীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই