সিডনিতে বাংলাদেশি নারী ও তার সাবেক সঙ্গীর মরদেহ উদ্ধার

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বাড়ি থেকে এক বাংলাদেশি নারী ও তার সাবেক সঙ্গীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্মিথফেল্ডের ওই বাড়িতে এ সময় তাদের তিন বছরের মেয়েকে পাওয়া গেছে ঘুমন্ত অবস্থায়।

স্থানীয় পুলিশ এ ঘটনাকে ‘হত্যার পর আত্মহত্যা’বলে ধারণা করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।

ছয় বছর একত্রে থাকার পর বাংলাদেশি তাসমিন বাহার (৩৫) সম্প্রতি তার সঙ্গী ডেভ পিল্লাইয়ের (৪০) কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান। এবং স্মিথফিল্ডের ওই বাড়ি থেকে তার তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান।

রোববার পিতৃদিবস উপলক্ষ্যে সম্পর্কের তিক্ততা এড়িয়ে কন্যার জন্য দিবসটি উপভোগ করতে বাহার তার মেয়েকে নিয়ে পূর্বের বাসায় যান।

দুপুর সাড়ে ১২টার পর মিসেস বাহার এবং মি. পিল্লাইয়ের মরদেহ বাথরুমে পাওয়া যায়। তাদের তিন বছরের কন্যা তখনও ঘুমাচ্ছিল। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নও ছিল না।

মিসেস বাহারের বোন শারাজিন বাহার নিউইয়র্ক থেকে বলেন, বোনের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি প্রচণ্ড শোকাহত। তিনি বাংলাদেশে রওনা হচ্ছেন এবং সেখান থেকে তিনি সিডনি যাবেন তার ভাগ্নিকে নেওয়ার জন্য।

তাসমিন দুদিন আগেও শারজিনের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ বলছে, কাউকে এ ব্যাপারে আপাতত: সন্দেহ করা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে। কারণ, তাদের এক আত্মীয় মরদেহ সম্পর্কে খবর দেওয়ার আগে বাড়ির ভেতরে কি হয়েছিল সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।

শারাজান বলেন, পিল্লাইয়ের সঙ্গে তাসমিনের ছয় বছর ধরে সম্পর্ক। অতীতে পিল্লাই তাকে ও তার মেয়েকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করত। এজন্য তাসমিন পুলিশের কাছে অভিযোগও দিয়েছিল। কয়েকদিন আগে সেই বাড়ি ছাড়ার পর পুনরায় সেখানে না যেতে আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তাসমিন পুনরায় সে বাড়িতে যায়।

তাসমিনের খালাতো বোন সিফাত শারমিন রুপন্তি জানান, ডেভ পিল্লাই যে হুমকি দিচ্ছিলেন, সে কথা তাকেও বলেছিলেন তাসমিন।

রুপন্তির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেন তাসমিন। তবে বাংলাদেশে তাদের ঠিকানা বা পরিবারের কোনো পরিচয় সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে প্রকাশ করা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই