সিটি নির্বাচন নিয়ে ‘বিভক্ত’ বিএনপি, সিদ্ধান্ত শিগগিরই

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপি নেতারা। কেউ বলছেন- দলের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এই নির্বাচনে সরকারকে ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেয়া উচিৎ নয়। আবার আরেক পক্ষ বলছেন- নির্বাচনটা হবে কীভাবে? দলের প্রার্থী যারা হবেন, তাদের বিরুদ্ধে তো মিথ্যা মামলা, নেতাকর্মীরা অনেকেই জেলে আছেন।

এমনটাই জানালেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান। শুক্রবার সকালে গুলশানস্থ সালাহ উদ্দিন আহমেদের বাসায় তার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

তবে তিনি এও বলেন, ‘আজ দেশের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়েই বেশি ভাবতে হবে। কারণ বর্তমানে যে সংসদ চলছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়েই এখন গুরুত্ব দিতে হবে।’

এর আগে গত গত বুধবার রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বাংলামেইলের কাছে একই মত দেন মাহবুবুর রহমান। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, ‘বিএনপির ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না তা দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাই এই বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ ঢাকার দুই এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তফিসল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল অসুষ্ঠিত হবে এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল। প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ এপ্রিল।



মন্তব্য চালু নেই