সিএমএইচে ২৬ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

রাজধানীর অভিজাত গুলশানে স্প্যানিশ হোটেল হলি আর্টিজানে শুক্রবার রাতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।এদের মধ্যে ছয় জঙ্গিও রয়েছে।ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এই ২৬ জনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) প্রভোস্ট মার্শাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহসিন টেলিফোনে ঢাকাটাইমসকে বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হওয়ার পর বৈঠক করে লাশ হস্তান্তর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ছয় জঙ্গিসহ এবং তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জনের লাশ সিএমএইচএ রয়েছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন থান্ডারবোল্ড শেষ হওয়ার পর ঐ দিন দুপুরে ২০ জনের লাশ ১৩টি অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচ-এ পাঠানো হয়।

এদিকে নিহত তিন বাংলাদেশিদের লাশ আজই স্বজনরা নিয়ে যেতে চাইছেন।এলিগ্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহমেদের মেয়ে অবিন্তা কবীরের মরদেহ নিতে তার স্বজনরা সিএমএইচে পৌঁছে গেছেন।এলিগ্যান্ট গ্রুপের এজিএম লিয়াকত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে থাকতেন। তিনি ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

বিদেশি নাগরিকদের লাশ হস্তান্তরের আগে কিছু রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস ও নিহতের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স লাগবে। তারপরই লাশ হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জিম্মি সংকটে ২০ জন মারা যায় বলে জানায় আইএসপিআর। তাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি ও ৩ জন বাংলাদেশি। বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি ও একজন ভারতীয়।বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন।

নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন ফারাজ আইয়াজ হোসেন, তিনি এসকায়েফ-এর সিইও সিমীন হোসেনের ছেলে এবং ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম লতিফুর রহমানের নাতি। পরিবারের পক্ষ থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহত অন্য বাংলাদেশি হচ্ছেন ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান ক্রিয়েটিভস (আইএসি)-এর শিক্ষার্থী ইশরাত আকন্দ। সহপাঠীরা তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

নিহত অপর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অবিন্তা কবীর। তিনি এলিগ্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহমেদের কন্যা। পরিবারের পক্ষ থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে থাকতেন। তিনি ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈনের (১৯) পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহত তারিশি’র বাবার নাম সঞ্জীব জৈন। তিনি ঢাকার আমেরিকান স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহত ৯ ইতালীয় নাগরিক হলেন আদেলে পুগলিসি, মারকো তোন্দা, ক্লদিয়া মারিয়া ডি’আন্তোনা, নাদিয়া বেনেদেত্তি, ভিনসেঞ্জো ডি’আলেস্ত্রো, মারিয়া রিভোলি, ক্রিস্তিয়ান রসি, ক্লদিয়া কাপেলি এবং সিমোনা মন্তি। শনিবার ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জিন্তিলোনি ঢাকায় নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।

এদিকে, জাপান সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা নিহতদের মধ্যে সাত জাপানি রয়েছেন বলে নিশ্চিত করলেও তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।



মন্তব্য চালু নেই