সিইসি প্রকাশ্যে নির্লজ্জ দালালি করেছেন

‘সদ্য শেষ হওয়া সিটি নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা ছিল খলনায়কের মত। নির্বাচন নিয়ে তাদের ব্যর্থতা পর্বত সমান এবং ক্ষমার অযোগ্য। বিশেষ করে সরকারের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রকাশ্যে নির্লজ্জ দালালি নির্বাচন কমিশনের মত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন গাজী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট কারচুপি এবং সহিংস ও প্রহসনের নির্বাচনের’ প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

গাজী বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এই ভূয়া নির্বাচন বাতিল এবং সিইসি কাজী রবিক উদ্দীনসহ নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ঠ সব কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করছি।’

২৮ এপ্রিল নির্বাচন গণতন্ত্রের ইতিহাসকে চরমভাবে লজ্জিত করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কু-নির্বাচনে ভোট ক্যুর এক দানবীয় রূপ প্রত্যক্ষ করেছে ঢাকা ও চট্রগ্রামবাসী। নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোটারও উপস্থিত হয়নি। অথচ নির্বাচন কমিশন ৪৪.৯ শতাংশ ভোটার উপস্থিত দেখিয়েছে যা লজ্জাজনক। ভয়াবহ ভোট কারচুপির পরও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে সিইসির বক্তব্য চরম লজ্জাজনক এবং ভোটারদের অপমানের শামিল।’

সিটি নির্বাচনে আইশৃংলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিইসির আজ্ঞাবাহী ভূমিকা ও স্বেচ্ছাচারিতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভবনা নস্যাৎ হয়ে যায়। স্থানীয় সরকারের এই রকম জঘন্য নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো হয়নি। নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণ করে জিতিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে এবং হারিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রকে।’

নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রের সামনে অস্ত্রের মহড়া চলেছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারও ভোট দখলের কাজে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে আইশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সরকার দলের সমর্থকদের সঙ্গে ভোট দখলের উৎসবে মেতে উঠেছে।’

এ সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের গোয়েন্দা সক্ষমতা অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে বেশি। তাহলে নির্বাচনের আগের দিন দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করালো কেন এবং প্রত্যেকটি নির্বাচন কেন্দ্রকে মিনি ক্যান্টনমেন্ট বানালো কেন?’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চেীধুরী, প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই