সালাহ উদ্দিনের ফোনের কল লিস্টে প্রভাবশালীরা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার আগে তার মোবাইল ফোন ও তার আশ্রয়দাতা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হাবিব হাসনাতের মোবাইল ফোনে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়েছে।

ওই দুই মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একাধিক সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আজ ১১ দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এখনো তার সন্ধান পায়নি। সালাহউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গত ১০ মার্চ রাত ৯টায় উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ বি নম্বর রোডের ৪৯ বি নম্বর ভবনের দোতলা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

অপরদিকে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং র‌্যাব পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের হেফাজতে সালাহউদ্দিন নেই। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ডিবি ও পুলিশের যে জোন থেকে নিখোঁজ হন, সেই জোনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই কমিটি সালাহউদ্দিনের সন্ধানে মাঠে কাজ করছে। সহসা সালাহউদ্দিনের বিষয়ে ভাল খবর পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাবিব হাসনাতের উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ভাড়া বাসায় সালাহউদ্দিন যাওয়ার ৪ দিন পরই নিখোঁজ হন।

১০ মার্চ রাত ৯টায় হাবিব হাসনাতের উক্ত বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায় বলে দারোয়ান আকতার আলী জানান। এর একদিন আগে হাবিব হাসনাত দ্বিতীয় স্ত্রী সুমনাকে নিয়ে দুবাই চলে যান। তার ভূমিকা নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাবিব হাসনাতের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও জানা যায়।

হাবিব হাসনাতের বাসায় যাওয়ার আগে বনানীর একটি ব্যাংক ভবনের সপ্তম তলায় ছিলেন সালাহউদ্দিন। তার দেখভাল করতেন লাবু নামের এক বাবুর্চি। লাবু ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বাবুর্চি। লাবু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান, সালাহউদ্দিন এখানে ছিলেন তবে ৪ দিন আগে এখান থেকে চলে গেছেন।



মন্তব্য চালু নেই