সালাহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত !

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে আটক বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রাক্তন মন্ত্রী সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক মামলা থাকায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ইন্টারপোলের ঢাকা অফিস ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে।

গত ১১ মে রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় খোঁজ পাওয়া যায় সালাহ উদ্দিনের। পরে স্থানীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বিদেশিসংক্রান্ত আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিডনি, লিভার ও হার্টের রোগের জন্য শিলংয়ের একটি সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিনকে এখনো আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।

মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) রাজীব মেহতা বলেন, ‘যখনই হাসপাতাল থেকে তাকে (সালাহ উদ্দিন) ছাড়পত্র দেওয়া হবে, তখনই আমরা কঠোরভাবে আইন পালন করব এবং তাকে আদালতে হাজির করব।’

হাসপাতালের ছাড়পত্র পাওয়ার পর সালাহ উদ্দিন আহমেদকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাকে এভাবে সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে পারবে না। এ ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন’

রাজীব মেহতা আরো বলেন, ‘কোনো রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়া তিনি কীভাবে ভারতে প্রবেশ করলেন বা কারা তাকে নিয়ে এসেছে, সেসব জানতে তাকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। পুলিশ এখনো সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়নি।’

যদিও আটকের পরদিনই হাসপাতালেই সালাহ উদ্দিনকে মেঘালয়ের দুই জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জেরা করেছেন বলে খবর বের হয়।

রাজীব মেহতা আরো বলেন, ‘সালাহ উদ্দিনকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রাথমিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে এখনো সিবিআই (ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো) থেকে কোনো নির্দেশনা পুলিশ পায়নি। আদালত যদি এমন কোনো নির্দেশ দেন, তাহলে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ডাউকির আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিয়ে গিয়ে বিএসএফের (ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী) হাতে তুলে দেব। বিএসএফের কর্মকর্তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ জানাবে সালাহ উদ্দিনকে তাদের হেফাজতে নিতে।

অন্য দেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ইতিমধ্যে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৪-এর আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে তার আত্মীয় ও বিএনপির কার্যনির্বাহীর বেশ কিছু সদস্য শহরটিতে এসে হাজির হয়েছেন। ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন- স্থানীয় এমন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই