সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে ‘মাথাব্যথ্যা’ নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ‘মাথাব্যথ্যা’ নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ সহসাই ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন না। অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের আইন অনুযায়ী সাজাভোগ করেই দেশে ফিরবেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এর পেছনের বিষয়টি রাজনৈতিক এবং দুটি দেশের সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে এমন আভাসই পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সে (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) ভারতে ধরা পড়েছে এবং ভারতে সে অবৈধভাবে গিয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ আইন-কানুন আছে। সেই আইন-কানুনের আওতায় ভারত যে ব্যবস্থা নেবে তা তাদের (ভারত) বিষয়। তাদের (ভারত) প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মনে করে বা আদালত যদি মনে করে, আদালত বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে তখন কিছু একটা করা হবে (দেন উই উইল হ্যাভ সামথিং টু ডু)। স্টিল দেন এটি নিয়ে আমাদের মাথাব্যথ্যার কিছু নেই।’

এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। ভারত তাকে ফেরত দিলেই ফেরত আনা হবে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর আগে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরিয় আনা হবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বাংলাদেশ-ভারত সরকারের আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করছে। দুই দেশের সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক হলে তাকে ফিরিয়ে আনতে আইনী কোনো বাধা নেই। কিন্তু সরকার যদি চায়, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবে তবে চলতি বছরের মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশে নাও ফিরতে পারেন।

বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে ২০১৩ সালে বহিঃসমর্পণ চুক্তি বা বন্দী বিনিময় চুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ আইনের আওতায় সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে আনবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার এখন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে। এ সময়ে সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি সরকারের কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে মাত্র। সামনের ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বাংলাদেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম।



মন্তব্য চালু নেই