সালথায় পানির অভাবে পাট চাষীরা বিপাকে

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মোট আয়তন ১৮৫.১১ বর্গ কিলোমিটার। এখানে কৃষকের চাষাবাদী জমির পরিমান ১৩ হাজার ৬শ’ ৭৫ হেক্টর। এ বছরে এই উপজেলায় প্রধান ফসল পাটের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১০ হাজার হেক্টর, তা অতিক্রম করে ১১ হাজার ৪শ’ ২৬ হেক্টর অর্জিত হয়েছে।

এবছর পাট চাষীরা যদি পাট কাটা থেকে আশ ছাড়ানোর কাজ ঠিকঠাক মত শেষ করতে পারে তাহলে হেক্টর প্রতি ১৩ বেল বা ২.৬ মে:টন ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে। এলাকার একাধিক পাট চাষীরা জানান, এবছরে পাটের যে ফলন হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে, তাতে প্রত্যাক পাট চাষীদের মূখে হাসি ফুটে উঠছে। কিন্তুু নদী –নালা, খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট চাষীরা বিপাকে পরার সম্ভবনা রয়েছে।

পাট নিরানি থেকে পাট বাছাই পর্যন্ত আবহাওয়া পাট চাষীদের অনুকুলে ছিলো, বর্তমানে উপজেলার কোথাও কোন পানি না থাকায় সকল পাট চাষীরা চিন্তায় পড়ে গেছে। পানি ছাড়া পাটের লাবন্যতা নষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাট বিক্রি করতে হবে। আর এতে চাষীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

যদুনন্দী ইউনিয়নের পাট চাষী হারুন, গট্টি ইউনিয়নের পাট চাষী নুরুদ্দীন মোল্যা, সোনাপুর ইউনিয়নের পাট চাষী কাওছার আলী জানান, আগের চেয়ে এবছরে পাটের দ্বিগুন ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। তবে পানির অভাবে আমাদের পাট জাগ দিতে সমস্যা হবে। আর যদি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড পানির ব্যবস্থা করেন, তাহলে পাট চাষীদের মূখে হাসি ফুটবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, পানি হলে পাট চাষীরা সুন্দর ভাবে পাটের আশ উত্তোলন করতে পারবে। আর পানি সময় মতো না হলে প্রাকৃতিক পদ্ধতি রিবোন বেটিং এর মাধ্যমে পাট জাগ দিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই