সারাদেশে বাস ধর্মঘটের হুমকি

আটক চালক, হেলপার ও চেকারকে নিঃশ্বর্ত মুক্তি না দিলে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধের হুমকি দেয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ হুঁশিয়ারি দেন। এসময় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালী থানার ওসির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক আলী আকবর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৮ মে রাতে ঢাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে ফরিদপুরের মধুখালিতে ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতি করে ডাকাতরা নেমে যাওয়ার পর চালক আয়নাল হোসেন বাসটি নিয়ে থানায় হাজির হন। এসময় তিনি ডাকাতির বিষয়টি উল্লেখ করে মামলার নেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু মুধখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ১৯ মে ফরিদপুরের এসপির নির্দেশে চালককে সকাল পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন।

এরপর চালক আয়নাল, হেলপার অপু ও চেকার রবিউলকে আসামি করে ডাকাতির মামলা করে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা ও বরিশাল রুটে পরিবহনের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও চালক, হেলাপার ও চেকারকে মুক্তি না দেয়ায় ২২ মে থেকে পরিবহনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮ রুটে ভাড়ায় চালিত সব ধরনের যানবাহান বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু ২৩ মে পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা ধর্মঘট অব্যাহত রাখেন। এ দাবি আদায় না হলে তারা মালিক শ্রমিক মিলে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট ও বাস ধর্মঘট আহ্বান জানাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, ‘এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে তারা ইতোমধ্যে রাজশাহী অঞ্চলের ও রাজবাড়ী জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেখানকার নেতারা আন্দোলনের ব্যাপারে সম্মত আছেন।’

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক আহম্মদ বলেন, ‘নেতৃবৃন্দ ফরিদপুর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু এসপি তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করেন। এজন্য এসপি ও ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পরিবহন মালিক সমিতির নেতা পবিত্র কাপুড়িয়া, আবুল কাশেম, রমেন মণ্ডল, যশোর জেলা ট্যাংক লরি অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ইন্তাজ আলী, সীমান্ত বাস মালিক সমিতির সভাপতি জুল হোসেন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই