সাবধানে সফর করুন! ভারতের এই পথগুলি কিন্তু ভৌতিক…

দিগন্তবিলীন সড়কে এত দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত, তাতে দু’পাঁচটা প্রেতাত্মা কি থাকতে পারে না? ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচিত্র সব হাইওয়েকে রাতিমতো ভৌতিক বলে চিহ্নিত করছেন তাঁরা।

ভুতুড়ে বাড়ি অথবা ভৌতিক রেল স্টেশনের কথা আমরা হরবখত পড়ছি। কিন্তু ভৌতিক হাইওয়ে? প্যারানর্মালবাদীরা হই হই করে বলে উঠবেন, কেন? তা কি হতে পারে না? দিগন্তবিলীন সড়কে এত দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত, তাতে দু’পাঁচটা প্রেতাত্মা কি থাকতে পারে না? তার পরে তাঁরা নিজেরাই উত্তর দেন, অবশ্যই পারে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচিত্র সব হাইওয়েকে রাতিমতো ভৌতিক বলে চিহ্নিত করছেন তাঁরা। দেখা যাক এদের কয়েকটিকে।

• দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট রোড— ভারতের সবথেকে ভূত-উপদ্রুত রাস্তা বলে চিহ্নিত। অন্ধকার রাতে গাড়ির চালকরা এখানে সাদা সাড়ি পরিহিতা এক নারীকে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন প্রায়শই। কখনও কখনও সেই নারী তাঁদের গাড়ির ব্যাকসিটে চলে আসে অলৌকিকভাবে। তার পরে একসময়ে সে নিজে থেকেই উধাও হয়ে য়ায়।

• ৩৩ নং জাতীয় সড়ক— এই সড়কের রাঁচি ও জামশেদপুরের মধ্যবর্তী অঞ্চলের বদনাম যথেষ্ট। তৈরি হওয়ার পরেই এই রাস্তায় পর পর দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। তেমন কোনও কারণও এই সব দুর্ঘটনার পিছনে ছিল না। মনে করা হয়, এই সব দুর্ঘটনার পিছনে এক মধ্যবয়সি মহিলার আত্মা ক্রিয়াশীল রয়েছে। সে নাকি হঠাৎই চলন্ত গাড়ির সামনে চলে আসে। গাড়ি টাল সামলাতে না পেরে দুর্ঘটনায় পড়ে।

• মুম্বই-নাসিক হাইওয়ে— এই রাস্তার কাসারা ঘাট নামের একটি জায়গায় রাস্তাটা একটু গা ছম‌ছমে। একটু ঘন ঝোপঝাড়, ছায়া-ছায়া ভাব। এখানে অনেকেই নাকি কালো শাড়ি পরা এক মুণ্ডহীন নারীমূর্তিকে দেখেছে।

• বেসান্ত অ্যাভেনিউ রোড— চেন্নাইয়ের এই রাস্তায় রাতের দিকে প্রায়শই সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই বলেছেন রাতের দিকে এই রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে তাঁরা অশরীরী কারোর হাতে চড়-থাপ্পড় খেয়েছেন। বাইক আরোহীদের কেউ ফেলে দিয়েছে। মনে করা হয় এক ইহুদি পরিবারের কোনও সদস্য এখানে দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর আত্মা এমন কাণ্ড ঘটায়। এ ছাড়াও এক নারী ও শিশুর আবছা অবয়বও দেখা যায় এই এলাকায়।

• দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে— এই রাস্তার সবটাই ভাল, কেবল ভানগড়ের আশপাশটা ছাড়া। ভারতের সবথেকে ভৌতিক স্পট ভানগড় পেরতে গিয়ে গাড়ির চালকরা কত রকমের অতিলৌকিককে যে ফেস করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই।

• মার্ভে অ্যান্ড মাধ আইল্যান্ড রোডস, মুম্বই— এখানে প্রায়শই এক নববধূকে দেখা যায়। কথিত আছে, এই বধূটিকে নাকি তার স্বামীই হত্যা করে গাড়ি চাপা দিয়ে। রাতের দিকে অনেকেই তার কান্না শুনেছেন। অনেকে তার অস্পষ্ট বা স্পষ্ট অবয়বও দেখা যায়। এই আত্মা কারোর কোনও ক্ষতি করে না। কিন্তু রাতের নির্জন সড়কে তার উপস্থিতি গাড়ি চালকদের অস্বস্তির কারণ হয় তো বটেই।



মন্তব্য চালু নেই