সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন না ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি গণমাধ্যমকে করে বলেন, এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি বিব্রত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে আগে একবার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। তবে ডেলিগেটদের সর্বসম্মতিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তখন প্রার্থী হয়েছিলাম নেত্রীর নির্দেশে। পরে নেত্রীর নির্দেশেই আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করি।’

২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনের আগেও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। তার অনুসারীরা তখন এ বিষয়ে প্রচারও চালিয়েছিল। তবে তিনি পরে আর প্রার্থী হননি। আর দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দ আশরাফ।

আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে ঘিরেও ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীরা বেশ কয়েক মাস ধরে সক্রিয়। সড়কমন্ত্রী এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ¦ী হবেন-এমন কথা বলেছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা আমাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে আস্থা আছে জানিয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে যিনি দলের সভাপতি (শেখ হাসিনা) তিনি ভালো বুঝেন কাকে কোন জায়গায় রাখতে হবে।’

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তোমার সময়ের আগে নয়, তোমার ভাগ্যের চেয়ে বেশি’এই নীতিতে বিশ্বাসী।’

আন্দোলনের দল না বিএনপি

অনুষ্ঠানে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপি হুমকি ধামকি দিলেও তারা কার্যত কিছুই করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের দল না। তারা ৫০ জনের একটা বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারে না।…আন্দোলন করতে গিয়ে তারা সহিংসাকে বেছে নিয়েছে। দল হিসেবে অনেকাংশে তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছে।’

দল হিসেবে বিএনপি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ভালো হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। সে ক্ষেত্রে সরকারও শক্তিশালী হয়। আমাদের দেশে নানা কারণে সেটা অনুপস্থিত।

মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘কেন মধ্যবর্তী নিবাচন দেবে সরকার? দেশে কি সেই রকম কোন পরিবেশ তৈরি হয়েছে? বহি্র্বিশ্ব থেকেও সেরকম কোন চাপ নেই। ঊনসত্তরের মত না হোক, নব্বইয়ের মত পরিবেশ হলেও মধ্যবর্তী নিবাচন নিয়ে চিন্তা করা যেত।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দশম জাতীয় নির্বাচন যে পদ্ধতিতে হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনও সেভাবেই হবে এবং সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।



মন্তব্য চালু নেই