সাধারণ দুধকে “ননফ্যাট” দুধে বদলে ফেলার সবচাইতে সহজ কৌশল!

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ছাড়াও আরো বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ফ্যাট বিহীন দুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে কিন্তু আমাদের দেশে ননফ্যাট দুধের দাম একটু বেশি। আবার সব জায়গায় সব সময় পাওয়াও যায় না। তাই একটু চেষ্টা করলে সেটা নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারি। প্রক্রিয়াটি আমার নিজের উদ্ভাবিত।

তবে প্রক্রিয়াটি জানানোর আগে এই দুধ সম্পর্কে একটু বলে নেয়া প্রয়োজন-

ননফ্যাট দুধ বলতেই অনেকে মনে করেন এতে কোন পুষ্টিগুণ নেই, বিস্বাদ একটি জিনিস। তবে সাধারণ দুধ এবং এই দুধটির পার্থক্য প্রধানত ফ্যাট থাকা আর না থাকার মাঝেই। এছাড়া এই দুধ দেহের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে।

ননফ্যাট দুধের পুষ্টিগুণ

১ কাপ (২৪৪ এমএল) ননফ্যাট দুধে থাকে ৮৪ ক্যালরি, ১২.১৫ গ্রাম শর্করা, প্রোটিন ৮.২৬গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০৬মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১০৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম ফসফরাস ২৪৭ মিলিগ্রাম থাকে। এছাড়া ভিটামিন এ থাকে ১৪৯ মাইক্রোগ্রাম এবং ভিটামিন ডি ১০০ IU থাকে।

যেভাবে তৈরি করবেন

তরল দুধকে বেশ কিছুক্ষণ ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে সেই দুধটা একটি বাটিতে ঢেলে দেড় থেকে দুই ঘন্টা নরমাল ফ্রিজে রাখুন। তারপর সেই দুধের বাটি বের করে দেখতে পাবেন উপরে বেশ ঘন একটা সর পড়েছে। খুব সাবধানে উপরের সেই সরটি দুধ থেকে তুলে ফেলুন। এখন বাটিতে যে দুধটা থাকবে সেটাই নন ফ্যাট দুধ। গরম দুধ খেতে চাইলে সেটাকে গরম করেও নিতে পারেন বা ফ্রিজে রেখে সেই ঠাণ্ডা দুধটাও খেতে পারেন। এই ননফ্যাট দুধ যেসব কাজে দুধ ব্যবহার করা যায় সব কিছুতেই ব্যবহার করতে পারেন। ইচ্ছে করলে এই দুধ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন ননফ্যাট দই। ফলে বাজার থেকে ননফ্যাট দই কিনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না।

শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)
মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া।



মন্তব্য চালু নেই