পলাতক ১৩ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

সাত খুন : ২ মামলায় অভিযোগ গঠন

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) নারাজি আবেদন খারিজ করে দিয়ে দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পলাতক ১৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালত বুধবার সকালে অভিযোগ গঠন করে এ আদেশ দেন।
এজাহার থেকে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়ায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ওই নারাজি আদেন করেছিলেন।

সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে এ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়েছিল।

গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতারকৃত সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে, যাদের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি হাজী ইয়াছিন মিয়াও রয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ১১ মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেন।
নারাজি আবেদনের বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির কৌঁসুলি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, তারা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

অন্যদিকে সরকার পক্ষের এপিপি কে এম ফজলুর রহমান জানান, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল চার্জশিট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা ঘটাতে সেলিনা ইসলাম বিউটি নারাজি দিয়েছিলেন। শুনানি শেষে আদালত নারাজি খারিজ করে দিয়ে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন।

এদিন সাত খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়



মন্তব্য চালু নেই