সাত খুন মামলা: তারেককে আদালতে হাজির না করায় অসন্তোষ

জেলার চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনেই র‌্যাবের সাবেক সিও তারেক সাঈদকে হাজির না করায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

কেন তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তার ব্যাখা চান বিচারক। আসামির অনুপস্থিতির কারণে সাক্ষ্য গ্রহণ না করে আদালত ২৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২২ আসামিকে হাজির করা হয়। আদালতে একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল উপস্থিত থাকলেও অপর মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটি অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হননি।

এদিকে কি কারণে তারেক সাঈদকে আনা হয়নি তা জানানোর জন্য পিপিকে নির্দেশ দিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য আদালত মূলতবি করেন বিচারক। এরপর তারেক সাঈদকে আনার দায়িত্বে নিয়োজিত পরিদর্শক আশরাফকে কোর্ট কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দেন। পরে আশরাফ তারেক সাঈদকে না আনার বিষয়ে ব্যাখা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং আগামী তারিখে অবশ্যই তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।

অপর দিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেন, মামলার বিচার কার্য বিলম্বিত করার জন্যই একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির করেনি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ রশিদ জানান, আদালতে কয়েকজন আসামির পক্ষে জামিন চাওয়া হয়েছিল। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারী সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন। তবে র‌্যাবের আট সদস্যসহ পলাতক ১২ আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরু হচ্ছে।

পলাতক ১২ আসামীর পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে পাঁচ আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন ও র‌্যাবের প্রাক্তন তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পর্যায়ক্রমে এ দুটি মামলায় ১শ ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই