হকার-এজেন্ট সমঝোতা

সাতদিন পর খুলনার পাঠক পেল পত্রিকা

অবশেষে সাতদিন পর পত্রিকা হাতে পেলেন খুলনার পাঠকরা। হকার্স ইউনিয়ন ও এজেন্টদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় সোমবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা সরবরাহ করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা হয়। এজেন্ট ও হকারদের মধ্যে দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধে এক সপ্তাহ খুলনাবাসী পত্রিকা পড়া থেকে বঞ্চিত হন।

শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের উপস্থিতিতে এজেন্ট, হকার ও ব্যুরো প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহমেদ।

সভায় এজেন্টদের পক্ষ থেকে বলা হয়, হকারদের কাছে তাদের বকেয়া পাওনা এখনি পরিশোধ করতে হবে না; হকাররা এখন নগদ মূল্যে পত্রিকা নেবেন, আর আগের বকেয়া প্রতি মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। হকাররা বলেন, তারা আগের মতোই বাকিতে পত্রিকা নেবেন এবং পরবর্তী মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ করবেন।

উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘সংবাদপত্র বন্ধ রাখা যাবে না। দেনা-পাওনার বিষয়টি সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করতে হবে। হকাররা বর্তমানে বাকিতেই সংবাদপত্র নেবেন, তবে পুরো মাসের পাওনা টাকা পরবর্তী মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করবেন। আর আগের বকেয়া টাকা এজেন্ট-হকাররা বসে প্রতি মাসে কিস্তিতে কি পরিমাণ পরিশোধ করবেন তা ঠিক করবেন। আর তিন মাস পর থেকে হকাররা নগদ মূল্যে এজেন্টদের কাছ থেকে পত্রিকা কিনে নেবেন। সংসদ সদস্যের এ সিদ্ধান্ত উভয়পক্ষ মেনে নেয়ায় সোমবার আগের মতো এজেন্টরা পত্রিকা এনেছেন, হকাররা বিলি করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন থেকে পত্রিকা এজেন্টদের সাথে হকার্স ইউনিয়নের সদস্যদের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ তৈরি হয়। এজেন্টরা হকারদের ১ জুলাই থেকে নগদ টাকায় পত্রিকা কিনে বিলি করার আহ্বান জানান। কিন্তু হকাররা তাতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে হকাররা ৩০ জুন থেকে পত্রিকা বিলি বন্ধ করে দেয়। এজেন্টদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংবাদপত্র বিপনণেও হকাররা বাধা দেয়।



মন্তব্য চালু নেই