ম্যাক্সি-ই কাল হলো গৃহবধূর

সাতক্ষীরায় শাশুড়ির মারধর আর স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা

অহিদুজ্জামান লাভলু, বাঁশদহা, (সাতক্ষীরা সদর): ম্যাক্সি তৈরী করে গল্প করা-ই কাল হলো গৃহবধূর। শাশুড়ির মারধর আর স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের গৃহবধু হিরা খাতুন। জানা গেছে, বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালী গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হিরা খাতুন (২০) শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভবে তাৎক্ষনিক জানা যায়। স্থানীয়রা অনেকে জানান, প্রায় বছর খানি আগে সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ঘরচালা গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে হিরা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় হাওয়ালখালী গ্রামের আরিজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলামের। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরা খাতুন বাবার বাড়িতে গিয়ে নিজের পরিধান করার জন্য ২/৩টা ম্যাক্সি বানিয়ে শশুড় বাড়িতে আসে। পরে সে প্রতিবেশিদের সাথে বাবার বাড়ি থেকে আনা ওই ম্যাক্সির গল্প করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শাশুড়ি। স্বামীর টাকায় ম্যাক্সি বানিয়ে বাবার বাড়ির গল্প করার অভিযোগ ছিল হিরার শাশুড়ির। এ নিয়ে হিরা খাতুনের সাথে শাশুড়ির বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে হিরাকে মারধর করে তার শাশুড়ি। যোগ হয় স্বামীর নির্যাতনও। শাশুড়ির মারধর ও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় হিরা খাতুন। এক বছরও স্বামীর ঘর করা হলো না, যবনিকা হলো একটি জীবনের, ভুলন্ঠিত হলো সুন্দর ভবিষ্যতের। এখন দেখার বিষয়, এই আত্মহত্যার ঘটনাও কী ‘সমঝোতার ধারায়’ যথারীতি গতানুগতিক ভাবে নিছক অপমৃত্যু হিসেবে পরিগণিত হবে? নাকি আত্মহত্যার প্ররোচনা কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে অন্যদের জন্যও তা উদাহরণ হয়ে থাকবে?



মন্তব্য চালু নেই