সাতক্ষীরায় বাগদা চাষী রফিকুলের মৎস্য চাষে সাফল্য

ইউএসএইড এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ফিস কর্তৃক পরিচালিত এ.আই.এন. (অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশান) প্রকল্পের রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার চারাবটতলা গ্রামের দরিদ্র একজন মৎস্য চাষী। প্রচলিত পদ্ধতির বাগদা চাষাবাদে কৌশলগত কিছুটা পরিবর্তন এনে এম.টি.টি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে ৬৮ শতক ঘেরে বিগত ৩ মাসে সে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা মুনাফা করেছে। আশা করেছে অগামী গোন গোনগুলিতে সে প্রায় লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনা করবে। অথচ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সে তার এ ঘের থেকে চিংড়ি চাষ করে সর্বসাকুল্যে ১৫-২০ হাজার টাকার বেশী মুনাফা পাইনি। কেন এমন লাভবান হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ওয়ার্ল্ডর্ ফিসের সুপার ভাইজার শফিকুল ইসলামের পরামর্শ মোতাবেক সে ঘেরের কিনারা বরাবর ৮ ফুট চওড়া ও ২ ফুট গভীরতা করে মাটি কেটে তার ঘেরের পানির গভীরতা বৃদ্ধি করে (ক্যানেলে ৫ ফুট, মালে আড়াই ফুট)। ঘেরের মধ্যে আলাদা ভাবে তৈরী করা ২ শতকের নার্সিং পয়েন্টের পাড়ে নীল নেট দিয়ে জৈব নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করে এর মধ্যে পানি ঢুকায়ে ব্লিচিং দিয়ে তা শোধন করে পিসিআর পরীক্ষিত বাগদার পোনা ছাড়ে, নিয়মিত খাবার দেয়া সহ পানির পিএইচ ও পিপিটি পরীক্ষা করিয়ে সে মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সে জন্যই এ আশ্চর্য সফালতা। এপর্যন্ত সে ৮০ কেজি বাগদা ৫০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেছে। ধারনা করেছে এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী গোনগুলোতে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কেজি বাগদা তার ঘেরে হবে। যার মূল্য ৭০০ টাকা দরে প্রায় ৮৪ হাজার টাকা। সে তার এ সাফল্যের কথা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া চাষীদেরকে শুনাচ্ছে যাহাতে তারাও উদ্যোগী হয়ে তার মতো করে চাষ শুরু করে। উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে প্রকল্পের ২০১২ সালের ২ টি চাষী গ্রুপ দেখাশুনা করছে।



মন্তব্য চালু নেই