সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সাতক্ষীরায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন নেয়ার পায়তারায় ধর্ষন মামলার আসামীরা

সাতক্ষীরায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে একটি ধর্ষন মামলার আসামীরা থানা থেকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন নেওয়ার জন্য পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন অশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের বিধবা মেয়ে রানু সুলতানা ওরফে তাহেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রানু সুলতানা বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১৫ মে ২০১৫ তারিখ রাতে লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিন শেখের ছেলে সবুর শেখ, একই গ্রামের ওমর মল্লিকের ছেলে মহিউদ্দিন মল্লিক ও হাজরাখালী গ্রামের মৃত মতি গাজীর ছেলে কোহিনুর গাজী তার ঘরে ঢুকে মারপিট করে এবং জীবন নাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। অসুস্থ্য অবস্থায় তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎস্যকরা ধর্ষন সংক্রান্ত পরীবক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এঘটনায় তার মা অঞ্জুমান আরা আশাশুনি থানায় মামলা করতে গেলে অসামীদের প্রভাবে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্র্যনালে পি-১১৯/১৫ নং একটি মামলা করলে বিচারক সেটি এফ,আই,আর হিসাবে গণ্য করার জন্য আশাশুনি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে ওসি পি-১১৯/১৫ নং মামলাটি থানায় এফ,আই,আর করেন। যার নং জি,আর-১২২/১৫ (আশা)। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতাল থেকে ডাক্তারী পরীক্ষার সনদ থানায় প্রেরণ করা হয়। যাতে ধর্ষনের বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। উল্টো মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীরা বাদীকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষন সংক্রান্ত বিষয়ে সিভিল সার্জনের পূর্ণাঙ্গ মতামত থাকা স্বত্বেও মোটা অংকের অর্থের বিনিময় আসামীরা থানা কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে তাদের পক্ষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন নেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসামীরা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি আশাশুনি প্রেসক্লাবে তাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে সংবাদ সম্মেলন করে। তাদের কোন জমি না থাকা স্বত্বেও সংবাদ সম্মেলনে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তারা আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর চরভরাটি জমিতে বসবাস করেন। কাজেই উক্ত সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে গত ২২ জুলাই পত্রদূত পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান। একই সাথে আশাশুনি থানায় দায়ের করা ধর্ষন মামলাটির সকল আসামীদের বিরুদ্ধে যাতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই