সাতক্ষীরায় গৃহবধুকে হাত পা বেধে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের চার সন্তানের জননী এক গৃহবধুকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দূর্বত্তরা। তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ওই গৃহবধুর নাম লালবানু (৫০) সে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের স্ত্রী।

ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্স এর ছাত্র ও ওই গৃহবধুর ছেলে আরিফ হোসেন সাজু জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তারা সকলে এক সাথে রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে বাড়িতে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বেশ কিছু দুরে একটি কুয়ার পাশে দেখতে পান হাত পা বাঁধা গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মূমূর্ষ অবস্থায় বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি তার মা দু’জন ব্যাক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ইশারায় কোনো রকমে জানাতে পেরেছেন। এর বাইরে কোনো কিছু তিনি আর বলতে পারেননি। কারা এঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এ বিষয়টি তার মা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

গৃহবধুর স্বামী ইব্রাহিম সরদার জানান, রাত সাড়ে ১১টার দকে চলে যান তাদের পশ্চিম বিলের নিজস্ব মৎস্য ঘেরে। ভোরে বাড়িতে ফিরে তার স্ত্রীকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ করিম জানান, এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। কারা ঘটনার সাথে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ হাসান লালবানুর অবস্থা আশংকাজনক উল্লেখ করে বলেন, তার গলায় অস্ত্রপচার করা হয়েছে। এখনও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আছেন তিনি। সুস্থ হতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই