সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতার ওপর বোমা হামলা

সাতক্ষীরার কুচপুকুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়ির গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নজরুল ইসলাম তাঁর মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ঢোকার মুহূর্তে হামলার শিকার হন। বোমায় তাঁর শরীরের পেছনের অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে গেছে। নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নজরুল ইসলাম জানান, তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকজন এই বোমা ছুড়ে মারে। তারা আগে থেকেই সেখানে ওত পেতে ছিল। পরপর তিনটি বোমার শব্দ শোনা যায়। তিনি এ সময় চার-পাঁচ ব্যক্তিকে দ্রুত মোটরসাইকেলে এলাকা ত্যাগ করতে দেখেছেন বলে জানান।

নজরুল পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত তাঁদের পরিবারে কমপক্ষে সাতবার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে একজন নিহত ও আটজন আহত হন। তাঁরা জানান, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ তাঁদের বাড়ি ও ধানচালের আড়তে সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সালের ১২ মে নজরুল ও তাঁর ভাই আমজাদকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। এতে তাঁরা আহত হন। সে বছরের ২৭ জুন তাঁর দোকান লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা পরপর চারটি বোমা ছুড়ে মারে। এতে তাঁর বোন শাহানা খাতুন ও ভগ্নিপতি জাহান আলী আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছেন। এর কিছুদিনের মাথায় ২০ জুলাই নজরুলের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপে একটি শিশু আহত হয়। ১৬ নভেম্বর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর এক আত্মীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ইউসুফ আলীকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। কয়েকদিন পর তাঁকে মুক্তি দেয় তারা।

নজরুলের পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে নজরুলের বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলামকে। একই সময়ে তাঁর ভগ্নিপতি কওসার ও তাঁর ছেলে সিমলকে গুলি করে আহত করে তারা। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে বোমা হামলার আরেকটি ঘটনা ঘটল।

নজরুল জানান, নিরাপত্তার জন্য তিনি দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা থানায় আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাতেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ শেখ জানান, বোমা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই