সাতক্ষীরার খবর

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার দাঁদপুর গ্রামে জেসমিন খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই গ্রামের আবু মুসার স্ত্রী ও এক ছেলের মা। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধুর পিতা যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বরণডালী গ্রামের বজলু সানা বলেন,আবু মুসা ফেনী জেলার একটি ইটভাটায় কাজ করে। তার বাড়ীতে না থাকার সুযোগে শ্বশুর মহিদুল ইসলাম ও শাশুড়ী রাবেয়া খাতুন একত্রে যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই জেমমিনকে মারধর করত। জেসমিন ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবীর কথা তাকে বললেও অভাবের কারনে তিনি তা দিতে পারেননি। বুধবার রাতে শ্বশুর ও শাশুড়ী তাকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে। পরে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার মেয়েকে শাড়ী দিয়ে পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। সকালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পাটকেলঘাটা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন,এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।
অর্থের বিনিময় অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কাশিপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে বাংলা শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের আভিভাবক সদস্য শেখ কামরুজ্জামান এই নিয়োগ বাতিল করে একজন যোগ্য ব্যক্তিকে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ কামরুজ্জামান বলেন, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে কাশিপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক বাংলা পদ শুন্য হয়। কিন্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মিন্টু ও প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার নাথ বাংলা শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা না করে সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। এজন্য ৯ লাখ টাকা চুক্তিতে সরুলিয়া গ্রামের হাসিনা বেগমের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্ত ৩/৪ মাস চেষ্টার পর ওই পদ সৃষ্ঠি করতে না পেরে বাংলা পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন এবং ধানদিয়া গ্রামের শুশংকার সাহার সাথে দশ লাখ টাকা চুক্তি করেন। একজন ভাল শিক্ষকের দাবিতে তারা বাধা দিলে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থানীয় নীলকন্ঠপুর গ্রামের সাইদুর রহমান সবুজকে নিয়োগ দেয়ার জন্য গোপনে তার সাথে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে একজন ভাল শিক্ষকের দাবিতে তারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে গত ১৬ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করলে আদালত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। এর পরও সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ ছাড়াই ১৩ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য করে। এঘটনা জানার পর তারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং ৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। ১০ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পরষ্পর যোগসাজশে গোপনে ১৩ ডিসেম্বর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভায় সাইদুর রহমান ওরফে সবুজ এর মত একজন অযোগ্য শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশ অনুমোদনের চেষ্টা করলে কমিটির ৬ জন সদস্য সভা ছেড়ে চলে যান।
তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে একজন ভাল মানের শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই