প্রত্যাশা ও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সুপেয় পানির নাগালে পৌরবাসী

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি সুপেয় পানির ব্যবস্থা আংশিক ভাবে হতে চলেছে। প্রত্যাশা ও চাহিদার চেয়ে সুপেয় পানি সরবরাহ অত্যন্ত অপ্রতুল হলেও প্রধান এ সমস্যা নিরসনে আলোর পথ দেখা দিয়েছে। স্বল্প পরিসরে পৌরসভার ৯ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সুপেয় পানির প্ল্যান্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পানি। আর বন্ধ থাকা পানি সরবরাহ প্রকল্পটি পৌরশহরে শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানা গেছে। বরাদ্দকৃত সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি চালু হচ্ছে বলে এক সেমিনারে জানান পৌর মেয়র গাজী আকতারুল ইসলাম। সুপেয় পানির প্ল্যান্ট চালুর মধ্য দিয়ে প্রায় শতভাগ আর্সেনিক ঝুঁকি কবলিত পৌরসভার ৩০ সহস্রাধিক মানুষের বিশুদ্ধ পানীয় জল প্রাপ্তির প্রত্যাশা অবশেষে বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। ২০০৪ সালে বগুড়ার রুরাল ডেভলপমেন্ট একাডেমি (আরডিএ) এর অর্থ সহযোগিতায় পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১৮ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের জন্য পৌরসভার ট্রাক টার্মিনালের পাশে পানির হাউজ-প্ল্যান্ট নির্মাণ ও সেখান থেকে তুলসীডাঙ্গা ফুড গোডাউন পর্যন্ত পাইপ লাইনের কাজ হয়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। একটি হাউজ-ট্যাঙ্ক ও সামান্য পাইপ লাইনের কাজ করেই ১৮ লাখ টাকার বাজেট শেষ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্পটি আবারও চালু করার জন্য ২০০৪ সালের ২৭ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র আহ্বান করে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪শ’৮ টাকা। এ কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে পানি উত্তোলন করা হয়। কিন্তু তাতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক থাকায় পানি তোলা বন্ধ করে দেয়া হয়। সূত্র আরও জানায়, ২০০৪ সালে বেসরকারি সংস্থা ‘জেস ফাউন্ডেশন’ এই পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে আরডিএ’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। নানা জটিলতার বেড়াজালে জনগুরুত্বপূর্ণ সেই পানি সরবরাহ প্রকল্পটি গত ১০ বছর ধরে বন্ধ আছে। এবিষয়ে মেয়র আকতারুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে পৌরসভা এলাকায় ছোট-বড় ১০টি সুপেয় পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। অচিরেই পৌর শহরে সুপেয় পানি সরবরাহের কাজ শুরু হবে।



মন্তব্য চালু নেই