সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সেটেলমেন্ট অফিসে চাঁদাবাজ ও দালালরা সক্রিয়

সাতক্ষীরার আশাশুনি সেটেলমেন্ট অফিসে চাঁদাবাজ ও দালালদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে নভেম্বর মাসে জেলা পুলিশ সুপারের ওপেন হাউস ডে-তে অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুলিশী অভিযান ও উপজেলা প্রশাসনিক ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও চাঁদাবাজ ও দালাল সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
দালালরা জনসাধারণের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আদায় করে যাচ্ছে। কোন না কোন ভাবে এদের খপ্পরে পড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জমির মালিকগণ।
খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতাপনগর গ্রামের আবুল, আব্দুস সামাদ, আনুলিয়ার আব্দুর রহিম, আক্তার, বড়দলের মনি মেম্বর, সুরঞ্জন, বৃশ্বর, আনোয়ার হোসেন নুন, আবু পাড়, খায়রুল, দরগাহপুরের রমজান, আশাশুনি সদরের বলাবাড়িয়ার কালিপদ ওরফে কালি, মনোরঞ্জন মেম্বর, পরিতোষ, শ্রীউলার পানু মোস্তফা, হাড়িভাঙ্গার শাহজাহান, তালার হরিহরনগরের মুনছুর ও বারী, তুয়ারডাঙ্গার আব্দুর রাজ্জাকসহ একাধিক দালাল ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এমনকি তাদের হাতে অনেকে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নামে কতিপয় নেতাকর্মী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে জমির মালিকদের কাছ থেকে।
তাছাড়া উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার ও অফিসের পেশকাররা জমির রায় পক্ষে করে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মোটা অংকের টাকা নিয়েও জমির রায় না দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করে চলেছে। সেটেলমেন্ট অফিসের ৩০ ধারার কেসে আসা একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাদী অথবা বিবাদী উভয় পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে একপক্ষকে রায় প্রদান করে অপর পক্ষকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে সেটেলমেন্ট অফিস।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার শেখ জাকির হোসেন জানান, এখন আর আমাদের এখানে কোনো কাজ নেই ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই এখানে কাজ শেষ এখন সাতক্ষীরা অথবা খুলনায় শুনানী হবে।



মন্তব্য চালু নেই