টেস্টে পনেরবারের মতো ৫ উইকেট শিকার সাকিবের

দিনের শুরুটা ব্যাট হাতে করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে যেভাবে আউট হলেন, তাতে যে কারও মনে হতে পারে এটি ছিল একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বড় রান করার লক্ষ্যেই হয়তো শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাতে শুরু করেছিলেন; কিন্তু বিষয় সেটা নয়, এটা যে টেস্ট ম্যাচ! আর তাতে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন তিনি। তবে, তাতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন ইংলিশদের পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে।

ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৫বার পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব। আদিল রশিদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এদিন পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করে ফেলেন তিনি। রশিদ রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গেলে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগে বল। জোরালে আবেন করেন সাকিব। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন তিনি। তাতেই বাংলাদেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত গেলে পূর্ণ হয় সাকিবের পাঁচ উইকেটের বৃত্ত।

এদিন সাকিব শুরুটা করেছিলেন জো রুটকে ফিরিয়ে দিয়ে। তাকে এলবিডব্লিউয়ে ফাঁদে ফেলেন এ বাঁ-হাতি। নিজের পরের ওভারেই মুমিনুলের তালুবন্দি করিয়ে ডাকেটকে সাজঘরে ফেরান সাকিব।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ইংলিশদের প্রথম ইনিংসের সেরা ব্যাটসম্যান মঈন আলিকে আউট করে বাংলাদেশকে দারুণভাবে খেলায় ফিরিয়ে আনেন সাকিব। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে মঈনের গ্লাভস ছুঁয়ে আসা বল ঝাঁপিয়ে নিজের তালুবন্দি করেন মুশফিক।

এরপর সফরকারীদের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসকেও ফেরান সাকিব। দলীয় ১৯৭ রানে তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এ অলরাউন্ডার। ফলে আবারও খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ।

এ নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে মোট ১৫৪টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দিনের শুরুতেই জো রুটকে ফিরিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে দেড়শ’ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই