সাকাপুত্রও ফিরে গেলেন ব্যর্থ হয়ে

মানবতাবিরোধী অপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী নিজের অপরাধের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না সে বিষয়ে পরামর্শের জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার পর দুই দফা চেষ্টা করেও তার আইনজীবীরা সাকার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

প্রথম দফায় দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান সাকার আইনজীবীরা। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় সাকার দুই ছেলে ও দুই আইনজীবী আবার যান কেন্দ্রীয় কারাগারে। মিনিট ১৫ তারা সেখানে অবস্থান করেন।

এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সাকাপুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, মূলত তার বাবার সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করিয়ে দিতেই তারা এসেছিলেন। হুম্মাম বলেন, তবে এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। আজ আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আগামীকাল আবার আসবো।

সাকা চৌধুরীর শারিরীক অবস্থা ভালো আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এরআগে সন্ধ্যায় ফিরে যাওযার আগে সাকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান আল ফেসানী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বৃহস্পতিবার যখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তখন তিনি তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সেজন্য আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।’

রাতে হুম্মাম কাদের ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন- ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট আকবর ইউসুফ।

মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে মানবতাবিরোধী অপরাধী সাকার সামনে এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া ছাড়া নেয়ার মতো আর কোনো পদক্ষেপ নেই।

সাকার মতোই জামায়াত নেতা মুজাহিদকেও প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। উত্তর জানাতে তিনিও সময় নিচ্ছেন।

তারা যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান এবং চাওয়ার পর যদি ক্ষমা না পান তবে আইন অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যেকোনো সময় দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের মধ্যে দিয়ে তাদের আইনি লড়াই শেষ হয়।

আরও পড়ুন:

সাকার সাক্ষা‍ৎ পেতে কারাফটকে পরিবার ও ২ আইনজীবী



মন্তব্য চালু নেই