সাংবাদিকদের ডেকে এনে বের করে দিল পুলিশ

শনিবার বিকেলে পুলিশের সদর দফতর থেকে ই-মেইলে পাঠানো একটি ম্যাসেজে জানানো হয়, রোববার বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সেমিনার কক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী ভারতীয় মানবাধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী ও পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজি জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে একজন ফটো সাংবাদিক ও একজন প্রতিবেদক পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।

শুধু তাই নয়, রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত দুটি সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রবিউল আরাফাত লেলিন ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।

বিকেল ৪টায় টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করায় কৈলাস সত্যার্থীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত আইজিপি। এ সময় ফটো সাংবাদিকগণ ছবি তুলছিলেন। এ সময় রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

ডিসি আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কে দাওয়াত করেছে? আমরা তো আপনাদের দাওয়াত করিনি। আপনারা কেন এসেছেন? আমাদের নিউজের দরকার নেই, আপনারা বের হয়ে যান।’

ডিসি বাতেন একবার, দুবার নয়, তিন-তিনবার একই কথা বলেন। তখন সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করে বাইরে অবস্থান নেন। সেখানে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা না আসায় শেষ পর্যন্ত সব সাংবাদিক চলে যান।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘থানায় নতুন জয়েন করেছি। আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে পরিচয় না হতেই প্রোগ্রাম বয়কট করলেন? আমি ভেতরে ছিলাম না। তাই কী ঘটেছে, তা সঠিক বলতে পারব না। তবে শুনেছি, বাতেন স্যার সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।’

সেমিনার কক্ষে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিশু অধিকারকর্মী বলেন, ‘ ওই পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা মানার মতো নয়। প্রোগ্রাম বয়কট করে সাংবাদিকরা একদিকে ঠিকই করেছেন। তবে যেহেতু একজন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশে এসেছেন, সেহেতু পুলিশ ও সাংবাদিক উভয়কেই বিষয়টি মিউচুয়াল করে প্রোগ্রামের কাভারেজ দেওয়াটা দরকার ছিল বলে মনে করি।’

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। পুলিশ আর সাংবাদিক তো একই কাজ করে থাকি। তাই আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে কাজ করব কীভাবে?’

lteeff



মন্তব্য চালু নেই