সাঁড়াশি অভিযান: ১১৯ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার প্রায় ৯ হাজার

জঙ্গি দমনে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানে তিন দিনে ১১৯ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৯১৬ জনকে। তৃতীয় দিন রোববার (১২ জুন) ৩৪ জঙ্গিসহ ৩ হাজার ২৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহসান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, তৃতীয় দিন রোববার গ্রেপ্তারদের মধ্যে পরোয়ানাভুক্ত ২ হাজার ৫৭৮, অস্ত্র মামলায় ১৯, মাদক মামলায় ১৬০ এবং অনান্য মামলায় ৪৫৪ জন রয়েছে।

এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের অভিযানে সর্বমোট ৮৫ জন জঙ্গিসহ ৫ হাজার ৬৭১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত রোববার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

দুই মাস আগে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হয়ে ঢাকায় আসার আগে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন বাবুল আক্তার। সে সময় তার নেতৃত্বে জেএমবির আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে নেতা পর্যায়ের একজন পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন।

ঘটনার দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, ‘বাবুল আক্তার একজন দক্ষ, সৎ অফিসার এবং জঙ্গি দমনে প্রচুর কাজ করেছে। তাই তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল মাঠে বিজিবির ৮৮ ব্যাচের সৈনিকদের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ওই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিতু হত্যার তিন দিন পরই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ধরতে বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দেয় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দেশে অব্যাহত গুপ্তহত্যা ঠেকানোর উপায় হিসেবে এই কৌশল নিয়েছে পুলিশ। এই অভিযান চলবে টানা সাত দিন।

যদিও এই অভিযানের নামে বিরোধী দমনের কৌশল এবং পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্য, ঈদ বকশিশ আদায়ের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। কিন্তু পুলিশ বলছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে এমন অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই