সহিংসতা চালিয়ে দাবি আদায় করা যাবে না

সহিংসতা করে কোনো দাবি আদায় করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে হরতাল-অবরোধে নিহতদের গায়েবানা জানাজা ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংস আন্দোলন করে বিশ্বের কোনো দেশ দাবি আদায় করতে পারেনি। আপনিও (খালেদা) পারবেন না।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা যেভাবে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছেন, তা জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ। আপনি (খালেদা) অবিলম্বে এ হত্যা বন্ধ করুন। এটা চলতে পারে না। কোনোভাবেই চলতে দেয়া যায় না। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা। এর মধ্যে এটা বন্ধ না করলে জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ৪ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাই তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ আমরা এখানে গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশের বর্তমান সহিংসতা বন্ধে সরকারের যা যা করা দরকার তাই করবে। প্রধানমন্ত্রীর সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে তিনি তা প্রয়োগ করবেন।’
জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত ঠিক সেই মুহূর্তে অবরোধের নামে জঘন্য সহিংসতা করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য ১৪ দলের নেতৃবৃন্দকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জানাজায় আরো অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই