সশস্ত্রপন্থা ঠেকাতে সিসির নতুন কৌশল

মিসরে সশস্ত্র ইসলামপন্থীদের ঠেকাতে সামরিক হামলার সঙ্গে নতুন কৌশল নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। সশস্ত্র আন্দোলনবিরোধী জনমত গড়ে তুলতে ইসলামী ব্যক্তিত্বদের কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

সশস্ত্রপন্থার বিরুদ্ধে জনমত গড়ায় প্রধান ভূমিকা রাখতে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছেন সিসি। মুসলিম বিশ্বে বিশেষ অবস্থান গড়ে তোলা ঐতিহাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের পাশাপাশি ইমামদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে এ কাজে।

তবে সিসির এ প্রকল্প কতটুকু সফল হবে এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। ইতোমধ্যে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক এ নীতির বিরোধিতা করেছেন। তারা এ ধরনের কাজে অংশ নিচ্ছেন না। এমনকি অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক সরাসরি এর বিরেুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

কায়রোর হাজার বছরের পুরনো আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স সেন্টারে গত জানুয়ারিতে দেওয়া এক টেলিভিশন বক্তব্যে সিসি তার এ পদক্ষেপকে ইসলামে ‘ধর্মীয় পুরর্জাগরণ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সশস্ত্রপন্থাকে তিনি ‘বিরক্তি, বিপদ, হত্যা ও বাকি বিশ্বকে ধ্বংসের দ্বরপ্রান্তে এনে দেয়’ বলে মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি এর বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যক্তিত্বদের অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। স্কুল, মসজিদ, গণমাধ্যমসহ সকল স্থানে সশস্ত্রপন্থার বিরোধী শিক্ষাদানের আহ্বান জানান সিসি।

তিনি বলেন, ‘আপনারা ইমামরা আল্লাহ’র পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি বিশ্ব অপেক্ষা করছে। আপনাদের পরবর্তী বিশ্বের জন্য বাকি বিশ্ব অপেক্ষা করছে। জাতি ইতোমধ্যে খণ্ডিত হয়ে গেছে।’

এ সময় প্রেসিডেন্টকে অবাক করে দিয়ে সেখানেই অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তারা এ সরকারকে পশ্চিমা সরকার বলেও অভিহিত করেন।

তারপরও হতোদ্যম না হয়ে নিজ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন সিসি।

দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মসনদে বসেন সাবেক সেনাপ্রধান সিসি। এরপর থেকে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে যাচ্ছে সিসি সরকার।



মন্তব্য চালু নেই