সর্বনাশ করলো সাধু বাবা !

সাধূ বেশে আশ্রয় নিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে কথিত সন্নাসী দ্বয়। ঘটনাটি ঘটে জেলার কালকিনি উপজেলার শশীকরের দর্শনা আড়–য়াকান্দি গ্রামে শনিবার রাতে। গতকাল রবিবার সকালে মধুসূদন রায় ও তার স্ত্রী ললিতা রায় এবং জামাই মানিক দত্তকে অচেতন অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মানিক দত্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

হাসপাতালে মধুসূদনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শেফালী রায় জানায়, তার ভাসুর মধুসূদন রায়ের বাড়িতে ৬/৭ দিন আগে সন্নাসী বেশে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা আগন্তক আশ্রয় নেয়।

আশ্রয় নেওয়ার সময় তারা নিজেদের সন্নাসী পরিচয় দিয়ে বাগেরহাট থেকে আশ্রমের কালেকশনের জন্য এসেছে বলে জানায়। মধুসূদনের বাড়িতে অবস্থান করে সন্নাসীদ্বয় এলাকায় ঘুরে ঘুরে টাকা-পয়সা কালেকশনের কাজ করতে থাকে। এরিমধ্যে মধুসুদনের স্ত্রী ললীতা রায়ের সাথে মহিলা সন্নাসীর সূ-সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শুক্রবার মধুসূদন রায়ের জামাতা মানিক দত্ত গৌরনদী থেকে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসে। মানিকের হাতে একটি সোনার মাদুলী ও আংটি দেখে সন্নাসীরা বলে আপনার মাদুলীতে অপয়ার ছোয়া লেগেছে ওই মাদুলী কোন কাজ করবে না,আমাদের কাছে নিয়ে আসেন আমরা তা শোধন করে দেব।

সন্নাসীদের কথা মতো গত শনিবার রাতে মধসূদন তার স্ত্রী ও জামাইকে নিয়ে সন্নাসীদের প্রস্তাব মতো গোপনে তাদের ঘরে বসে সোনার মাদুলী শোধনের কাজে লিপ্ত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদুলী আর সোনা শোধনের কাজ। এদিকে রাতে নোয়াখালীর লক্ষীপুরে চাকুরীরত মধুসূদনের ছেলে মনোজ রায় কয়েকবার বাবা-মাকে মোবাইল ফোনে কল করে ফোন বন্ধ পায়।

পরবর্তিতে ছেলে তার (শেফালির) মোবাইলে ফোন দিয়ে বাবা-মা ফোন কেন ধরছে না দেখতে বলে। মধুসূদনের ছেলের কথা মতো শেফালী তার স্বামীকে নিয়ে মধুসূদনের ঘরে গিয়ে মধুসূদন ও তার স্ত্রী এবং জামাইকে অজ্ঞান অবস্থায় পরে আছে তারা আরো দেখতে পায় ঘরের আসবাবপত্র এলামেলো, আলমারী খোলা,ওয়ারড্রব,শোকেস খোলা দেখতে পায়।

পরে সকালে তাদের মাদারীপুর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সবাই অজ্ঞান থাকায় এঘটনায় লুণ্ঠিত মালামালের পরিমান জানা যায়নি। এদিকে খবর পেয়ে লক্ষীপুর থেকে মটার সাইলে যোগে বাড়ি আসার পথে মধুসূদনের ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে লক্ষীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই