সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তবুও ‘অনিশ্চয়তা’!

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে র‌্যাংকিংয়ের সেরা আট দল সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এই মূহুর্তে বাংলাদেশের অবস্থান সাতে। তবুও ‘যদি’ ওপর নির্ভর করছে টাইগারদের সরাসরি মূল আসরে খেলা।

আইসিসি র‌্যাংকিংয়ের সর্বশেষ হালনাগাদ করেছে ৪ মে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেশি নিয়ে সাত নম্বরে আছে বাংলাদেশ। আর ৯ নম্বরে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে মাশরাফিদের ব্যবধান ১২। সরাসরি মূলপর্বে খেলতে এই দুই দলের সঙ্গে অলিখিত লড়াই হবে সাকিব-মুশফিকদের। বিশ্বকাপের আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ আরেকবার র‌্যাংকিং হালনাগাদ করা হবে। সেই পর্যন্ত যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে হবে। আর বাংলাদেশের চিন্তাটা এখানেই। তখন ৯ নম্বরে নেমে গেলে বাছাই পর্বের টুর্নামেন্ট খেলতে হবে। যেটা অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ সালে। আর বিশ্বকাপের আসর হবে ২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

সূচী বলছে, পরবর্তী হালনাগাদ পর্যন্ত বাংলাদেশের ম্যাচ আছে ১২টি। এই সময়ের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে ২৪টি এবং পাকিস্তান খেলবে ২৩টি ম্যাচ! স্বাভাবিকভাবে বেশি ম্যাচ খেলার কারণে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তাদের বেশি থাকবে। নিজেদের জায়গা ঠিক রাখতে হলে বাংলাদেশের ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই।

২৫ এপ্রিল পাপন ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ৫ নম্বরে উঠে এসেছে। পাপনের কথা যদি ঠিক হতো তাহলে সরাসরি খেলা নিয়ে টাইগারদের চিন্তা তো ছিলই না, বরং সামনের ১২টি ম্যাচে একটু এদিক-ওদিক হলেও ক্ষতি ছিল না।

একটা দরজা বন্ধ হলে খুলে যায় আরেকটা। পাঁচ নম্বরের দরজা আপাতত বন্ধ হলেও মুস্তাফিজদের জন্য ‘ভালোর দরজা’ কিন্তু খোলাই থাকছে। আয়েসে গা না ভাসিয়ে লড়াইয়ের ভেতর থাকবে দল। তাতে প্রস্তুতিটা ভালো হবে। কে জানে হয়তো সেই ‘ভালোর ভেলায়’ ভেসে গত বিশ্বকাপের চেয়ে এবার বেশি পথ পাড়ি দিবে বাংলাদেশ…



মন্তব্য চালু নেই