সরস্বতী পূজায় যেভাবে সর্বনাশ হলো এক ছাত্রীর

এবারের সরস্বতী পূজায় বর্ধমানের দুর্গাপুরে সর্বনাশ হলো এক ছাত্রীর। কয়েকজন বখাটে কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার এদের আদালতে পাঠানো হয়। এদের ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বর্ধমান জেলা আদালত।

সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের শরণাপন্ন হয় ওই ছাত্রীর পরিবার। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবারটি। গ্রেফতার হয় রাজীব প্রধান, পিন্টু মল্লিক ও প্রদীপ সরকার নামের তিন বখাটে। বুধবার বর্ধমানের স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে তাদের ছয় দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

ছাত্রীর পরিবারের বর্ণনা মতে, সোমবার রাতে ছাত্রীর বাড়ি কাছেই সরস্বতী পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে সেও ওই অনুষ্ঠান দেখতে যায়। অনুষ্ঠান চলাকালীন বন্ধুরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। একসময়ে তাকে একা এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাজীব এসে বলে, এক বান্ধবী ডাকছে। তার কথায় বিশ্বাস করে সে সঙ্গে যায়। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল পিন্টু ও প্রদীপ।

ছাত্রীর কথায়, ‘ওরা আমায় কোল্ড ড্রিঙ্ক দেয়। আমি তা খেয়েও ফেলি।’ এর পরেই সে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বাড়ি ফেরে মঙ্গলবার সকালে। রাতে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় অভিভাবকেরা ভেবেছিলেন, এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে আছে। বাড়ি ফিরে মেয়েটিও প্রথমে কিছু বলেনি। কিন্তু খানিক বাদে সেই আত্মীয়ই তাদের বাড়িতে আসেন। জানান, তার বাড়িতে ছিল না।

এতে সন্দেহ হওয়ায় তারা মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। শেষে মেয়েটি তার সর্বনাশের কথা জানায়। তার অভিযোগ, মাঝরাতে একবার ঘোর কাটলে চোখ খুলে সে দেখে, রাজীব, পিন্টু ও প্রদীপ বসে আছে। তার পরে ফের সে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। সকালে জ্ঞান ফিরলে সে বোঝে, সেটি একটি পরিত্যক্ত টালির বাড়ি।

বখাটেরা তাকে হুমকি দেয়, গোটা ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করা আছে এবং কাউকে কিছু জানালে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ছাত্রীর মায়ের বক্তব্য, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা যেন অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে। অভিযুক্তদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি লড়ে যাব।’



মন্তব্য চালু নেই