সরকার পকেটমারের ভূমিকায় : জোনায়েদ সাকি

বর্তমান সরকার পকেটমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সোমবার বেলা ১২টায় নির্মল সেন মিলনায়তনে মঙ্গলবারের হরতাল প্রসঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সংবাদ সম্মেলন তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সবগুলো গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লাভজনক অবস্থায় আছে এমন একটা পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই ঘোষণা কোনোভাবেই আসতে পারে না। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে সংকট বৃদ্ধি পাবে। পরিবহন, কৃষি উৎপাদন ও শিল্প উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের জীবনে এমনিতেই নাভিশ্বাস দশা, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি কম আয়ের মানুষকে দুর্দশাগ্রস্ত করবে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পেলেও বেশিরভাগ শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন এখনো ৫ হাজার ৩শ টাকা। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খেটে খাওয়া মানুষদের ঘরভাড়া বেড়ে যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বড় শহরগুলোতে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষই এই দুরবস্থার মধ্যে পড়বেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সক্ষমতা কমে যাবে, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে এবং সব মিলিয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিই একটি বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্যে পরবে। তাহলে কার স্বার্থে এই মূল্য বৃদ্ধি?’

সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে যে লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার তহবিল জোগাতেই এই মূল্যবৃদ্ধি। বাংলাদেশের জনগণ এই দাম বৃদ্ধি মেনে নেবে না। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে সাথে নিয়ে এই মূল্যবৃদ্ধির এই চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারির আধাবেলা হরতাল সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) অন্যতম কেন্দ্রীয় ফখরুদ্দিন কবীর আতিক এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা হামিদুল হক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই