সরকারের বাল্য বিবাহ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার পায়তারা

ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে বেড়ীরহাট এলাকার বিদেশ গমনরত মোশারেফ হোসেন এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে রাব্বীকে (১৫) কে ফুসলিয়ে একই এলাকার বিদেশগমনরত টিপু হাওলাদারের স্ত্রী নাজমা বেগম তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে তিন্নি (১৪) এর সাথে বিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে। এর ফলে সরকারের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনকে এক রকম বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ইতিমধ্যে ছেলেকে কব্জা করে রেখে মেয়ে পরিবার।

এ ব্যাপারে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর এর নির্দেশে ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মিলন দুই পরিবারের সাথে কথা বলে। তাদেরকে প্রাপ্ত বয়স হওয়ার আগে বিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিলেও তা মানছেনা মেয়ে পরিবার। মেয়ের পরিবারের দাবী রাব্বীর সাথে তিন্নির বরিশালে একটি কাজী অফিসে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পরে তারা বরিশালে ১মাস সংসার করেছে। তাই শরীয়ত মতে তারা স্বামী স্ত্রী। তাই তারা এক সঙ্গেঁ থাকতে চায়। তবে ছেলের মা আয়েশা বেগম তাদেরকে মেনে নিচ্ছে না বলে জানান। এদিকে, তিন্নি রাব্বীর স্ত্রী দাবী নিয়ে ছেলে পরিবারের কাছে ধরনা দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে ছেলের মা আয়েশা বেগম বলেন, সম্পত্তির লোভে আমার অবুঝ ছেলে রাব্বীকে মেয়ে ও তার মা ফুসলিয়ে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, রাব্বী মাত্র দশম শ্রেণীতে পরে। তার এখন পর্যন্ত বিয়ের বয়স হয়নি। তার আগেই আমার ছেলের পিছনে তিন্নিকে লেলিয়ে দিয়েছে। ছেলের বাবা মোশারেফ হোসেন সৌদি আরব থেকে ফোনে জানান, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বয়সের আগে বিয়ে দন্ডনীয় অপরাধ। আমার ছেলে রাব্বীর বিয়ের বয়সী এখনো হয়নি। বয়স হওয়ার আগেই স্থানীয় একটি পরিবার তাদের মেয়েকে আমার ছেলে পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা রাব্বীকে বিভিন্ন কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ভিন্ন করে নিয়েছে। এখন তারা বাল্য বিবাহর জন্য পায়তারা চালাচ্ছে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অপরদিকে, মেয়ের মা নাজমা বেগম বলেন, আমরা মেয়ে তিন্নিকে রাব্বী বিয়ে করেছে। এখন এই বিয়ে রাব্বীর বাবা মা মেনে নিচ্ছে না। ফলে আমরা মেয়ে তিন্নির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার দিকে যাচ্ছে।

উত্তর দিঘলদী ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর বলেন, সরকারের বিবাহের জন্য যে আইন আছে কেউ যদি ওই আইন অমান্য করে, বাল্য বিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করে তবে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই